Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চলতি বছর ১৯ জুন রাজ্যসভার জন্য অনুষ্ঠিত হতে চলা নির্বাচনে তামিল চিত্রতারকা তথা ‘মক্কাল নিধি মইয়াম’ (এমএনএম)-এর প্রতিষ্ঠাতা কমল হাসনকে প্রার্থী করতে চলেছে ডিএমকে(Kamal Hasan)। বহু আলোচিত এই পদক্ষেপের মাধ্যমে অবশেষে সংসদীয় রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিক প্রবেশ করতে চলেছেন তিনি।
ছয় রাজ্যসভায় চারটিতে জয় (Kamal Haasan)
ডিএমকে সূত্রে জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর ছয়টি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে অন্তত চারটিতে তাদের জয় নিশ্চিত(Kamal Haasan)। আর এই চার আসনের একটিতে কমলকে প্রার্থী করা হবে বলেই স্থির হয়েছে। এমএনএমের নিজস্ব কোনও বিধায়ক না থাকায় তাদের পক্ষে এককভাবে কোনও আসনে জেতা অসম্ভব হলেও, ডিএমকের সমর্থন থাকায় কমলের জয় অনিবার্য বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।এর আগেই ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোটে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছিল এমএনএম। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটি কোনও আসনে প্রার্থী দেয়নি। বরং ডিএমকে-কংগ্রেস-বাম জোটকে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল। সেই সময়ই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কমল হাসনকে রাজ্যসভা প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন (Kamal Haasan)। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি (Kamal Haasan)
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতেই স্ট্যালিন ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী পিকে শেখর বাবু চেন্নাইয়ে কমলের বাসভবনে গিয়ে বৈঠক করেন (Kamal Hasan)। বৈঠকের পর শেখর বাবু সংবাদমাধ্যমে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কমলের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পথ প্রশস্ত করা হবে। তারই ফলস্বরূপ রাজ্যসভা নির্বাচনে এই মনোনয়ন। কমল হাসন ২০১৮ সালে এমএনএম গড়ে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। দলটি আত্মপ্রকাশের সময় থেকেই ডিএমকে, এআইডিএমকে, বিজেপি ও কংগ্রেসের চিরাচরিত রাজনীতির বিরোধিতা করেছিল। তবে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ২০২৪-এ কোনও প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এমএনএম। যদিও ২০২১ সালে কোয়ম্বত্তুর আসনে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন কমল (Kamal Haasan)।
আরও পড়ুন: Chennai Accident : চেন্নাইয়ের থিম পার্কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, ৫০ ফুট ওপরে তিন ঘণ্টা ঝুলে ৩০ যাত্রী
দক্ষিণী রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ (Kamal Haasan)
ডিএমকে এই মুহূর্তে তামিলনাড়ুর শাসক দল এবং রাজ্য বিধানসভায় তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা যথেষ্ট (Kamal Haasan)। সেই হিসেবে তাদের সমর্থনে রাজ্যসভা নির্বাচনে জয় পাওয়া নিছক আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। আগামী ২৫ জুলাই মেয়াদ শেষ হচ্ছে ছয় তামিল সাংসদের—যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ভাইকো, আনবুমনি রামাদোস এবং পি উইলসনের মতো নাম। সেই জায়গাতেই রাজ্যসভায় যাচ্ছেন কমল।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কমল হাসনের সংসদীয় রাজনীতিতে আগমন দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে।
যদিও তিনি সরাসরি প্রশাসনিক ক্ষমতায় আসেননি, তবে রাজ্যসভায় থেকে জাতীয় রাজনীতিতে নিজস্ব মতাদর্শ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন(Kamal Haasan)।কমলের রাজনৈতিক কেরিয়ার বহুবার সমালোচিত ও অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হলেও এবার রাজনীতির মূল স্রোতে পা রেখে তিনি নিজের অবস্থানকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছেন, এমনটাই মনে করছেন অনেকে। এখন দেখার, চলচ্চিত্রের মতো রাজনীতির মঞ্চেও তিনি কতটা স্থায়ী ও প্রভাবশালী হয়ে উঠতে পারেন।
