ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : গ্রেফতার করা হয়নি পকসো আইন (POCSO) মেনে! মামলা দায়েরের ক্ষেত্রেও মানা হয়নি সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন (Hanskhali POCSO case)। তাই নদিয়ার হাঁসখালি থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্তকারী অফিসার দীপক কুমার মালাকারের বিরুদ্ধে রুল জারি করে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপের জন্য জেলা পুলিশ সুপারকে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক।
কী ঘটেছে ? (Hanskhali POCSO case)
ঘটনার সূত্রপাত বছর আড়াই আগে। ২০২২ সালে এক নাবালক-নাবালিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ওই নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই নাবালককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার সময় সে নাবালক থাকলেও যে সময় অভিযোগ দায়ের ও মামলা রুজু হয় (Hanskhali POCSO case), তখন সেই নাবালক সাবালক হয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ তাকে নাবালক না দেখিয়ে সাবালক হিসেবে দেখায়।
আরও পড়ুন : Jobless Teachers: ‘মৃত্যুপরোয়ানা ঘোষণা’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন চাকরিহারাদের
ধৃত নাবালককে মুক্তির নির্দেশ (Hanskhali POCSO case)
সেই গ্রেফতারীকে চ্যালেঞ্জ করে এবং মামলায় পদ্ধতিগত ত্রুটি তুলে ধরে গত মে মাসে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নাবালকের পরিবার (Hanskhali POCSO case)। সেই মামলা থেকে ধৃত নাবালককে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী অনির্বাণ তরফদার ও সৌম্য ভট্টাচার্য সওয়ালে দাবি করেন, নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ভিত্তিহীন। ঘটনার সময় অভিযুক্তের বয়স নজরে রাখা উচিৎ। গ্রেফতারির ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইনও মানা হয়নি। কাউকে গ্রেফতার করার সময় কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে তা জানাতে হয়। এবং গ্রেফতারের সময় কাউকে সাক্ষী রাখতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ। হাইকোর্টে এই ভুলের কথা স্বীকার করে ক্ষমাও চান সংশ্লিষ্ট আইও। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ করেনি।
আরও পড়ুন : Calcutta High Court: হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েও খালি হতে ফিরতে হল ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের একাংশদের
পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ বিচারপতির
বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েক গোটা ঘটনায় রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করে এবং পুলিশের ভূমিকায় খুব প্রকাশ করে পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘পকসোর মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায় পুলিশ গাইডলাইন মানছে না! এটা খুবই বিস্ময়কর ঘটনা। এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। রাজ্যের সমস্ত পুলিশের হাঁসখালির এই ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখা উচিত।’