ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমানে মোবাইল (Whatsapp Hack) ফোন হ্যাকিং ও সাইবার অপরাধের কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপকভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ব্যাংকিং তথ্য হাতিয়ে নিয়ে টাকা চুরি করার ঘটনা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই ধরনের সাইবার ক্রাইমের মাত্রা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, অনেকেই নিজেরা সতর্ক হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, হ্যাকিং বন্ধ হয়ে গেছে। বরং প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা চুরি চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে হোয়াট্সঅ্যাপের মাধ্যমে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে মুঠোফোন হ্যাক করার অভিনব কৌশল দেখা যাচ্ছে।
অচেনা নম্বর থেকে একটি ছবি পাঠানো হয় (Whatsapp Hack)
পুলিশ ও সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, হোয়াট্সঅ্যাপে অপরিচিত বা (Whatsapp Hack) অচেনা নম্বর থেকে একটি ছবি পাঠানো হয়, যা ডাউনলোড করলেই ফোনের ব্যক্তিগত তথ্য, ওটিপি (One Time Password) এবং ব্যাংক সংক্রান্ত ডেটা সরাসরি হ্যাকারদের হাতে চলে যায়। এর আগেও লিংকের মাধ্যমে এই কাজ হত, কিন্তু সরকারি প্রচারাভিযানের ফলে অনেকেই অজানা লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকেন। এজন্য অপরাধীরা ছবি ব্যবহার করে নতুন ফাঁদ পেতে শুরু করেছেন।
খালি চোখে দেখা যায় না (Whatsapp Hack)
প্রযুক্তিবিদরা জানাচ্ছেন, যে ছবিগুলো হোয়াট্সঅ্যাপে পাঠানো হয়, সেগুলোতে অসংখ্য (Whatsapp Hack) পিক্সেল থাকে। প্রতিটি পিক্সেলের মধ্যে লুকানো থাকে বিশেষ ধরনের কোড। এই কোডের কিছু অংশ খালি চোখে দেখা যায় না। হ্যাকাররা এই কোড পরিবর্তন করে ছবি তৈরি করেন। যখন গ্রাহক ওই ছবি দেখতে বা ডাউনলোড করতে যান, তখন ছবির পিক্সেলে লুকানো ম্যালওয়্যার সক্রিয় হয়ে পড়ে এবং মুঠোফোনে ঢুকে পড়ে।
অজান্তে ক্লিক
অনেক সময় গ্রাহকরা সমাজমাধ্যম থেকে আসা ছবিগুলো অজান্তে ক্লিক করেন। এর ফলে পিক্সেলের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর কোডগুলো সক্রিয় হয়ে যায় এবং হ্যাকাররা ফোনের সমস্ত তথ্য হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্মার্টফোন নিজে হ্যাক হওয়া কঠিন হলেও ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে মোবাইল ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা মোটেই সহজ কাজ। এই হ্যাকিংয়ের সাফল্য অনেকাংশেই নির্ভর করে ফোনের মডেল, সফটওয়্যার ভার্সন এবং হোয়াট্সঅ্যাপের আপডেটেড অবস্থার ওপর।
মোবাইল ফোন সুরক্ষিত রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা মোবাইল ফোন সুরক্ষিত রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, ফোনের সফটওয়্যার সর্বদা আপডেট রাখা উচিত, কারণ আপডেটেড সফটওয়্যার অনেক ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতা দূর করে। দ্বিতীয়ত, অজানা বা অপরিচিত নম্বর থেকে আসা হোয়াট্সঅ্যাপের ছবিতে ডাউনলোড বা ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এছাড়া হোয়াট্সঅ্যাপের অটো-ডাউনলোড ফিচার বন্ধ রাখাও জরুরি। এই সতর্কতাগুলো অনুসরণ করলে হ্যাকিং থেকে কিছুটা মুক্ত থাকা সম্ভব।
আরও পড়ুন: Jamaishasthi: অমিত শাহর সভা না শ্বশুরবাড়ির ভোজ! উভয় সঙ্কটে গেরুয়া শিবিরের জামাইরা
সার্বিকভাবে, বর্তমান যুগে প্রযুক্তির সুবিধার পাশাপাশি বিপদও বেশি। তাই ব্যবহারকারীদের নিজেদের ডিভাইস ও তথ্য সুরক্ষায় সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। হ্যাকিংয়ের বিরুদ্ধে সতর্কতা ও সচেতনতা গ্রাহকদের জন্য সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। সাইবার অপরাধীদের নতুন কৌশল প্রতিহত করতে হলে প্রযুক্তি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং নিজে নিজেই নিরাপদ থাকার প্রক্রিয়া অবলম্বন করতে হবে। তাহলে করে অনলাইন আর্থিক লেনদেনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।