ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ব্লুমবার্গকে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বলেন (CDS Confirms Jet Loss), ভালো দিক হলো, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি… এটির প্রতিকার করতে পেরেছি, এটি সংশোধন করতে পেরেছি এবং তারপর দুই দিন পর আবার এটি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং আমাদের সমস্ত জেট আবার উড়িয়েছি’।
‘কেন বিমান ধ্বংস হল, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ — সিডিএস (CDS Confirms Jet Loss)
প্রতিরক্ষা প্রধান (Chief of Defence Staff) অনিল চৌহান শনিবার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন যে, ৮ মে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় পাকিস্তান বায়ুসেনার সঙ্গে ডগফাইটে ভারতের যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে (CDS Confirms Jet Loss)। চৌহান সিঙ্গাপুরে ব্লুমবার্গ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি স্বীকার করেন। যদিও তিনি স্পষ্ট করে বলেননি ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমানগুলি রাফাল, মিগ না কি সুখোই ছিল। তিনি শুধু জবাবে ‘হ্যাঁ’ বলেন, যখন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন ভারত কি সত্যিই কোনও যুদ্ধবিমান হারিয়েছে।
চৌহান বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল — যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়া নয়, বরং কেন ধ্বংস হল সেটাই আসল।” সাংবাদিক আবারও জানতে চান, অন্তত একটি বিমান কি ধ্বংস হয়েছে? উত্তরে চৌহান বলেন, “হ্যাঁ।”
আরও পড়ুন: PM Modi: ‘প্রাণ যায় যাক, কথার খেলাপ হবে না!’ প্রতিশ্রুতিরক্ষা প্রধানমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, “ভালো দিকটা হল আমরা বুঝতে পেরেছি কোথায় কৌশলগত ভুল হয়েছে। আমরা সেটা সংশোধন করেছি, সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছি এবং দুই দিন পর আবার সমস্ত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছি, যারা দূর পাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, “যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে এটা বড় কথা নয়, বড় কথা হল সেটা কেন হয়েছে।”
পাকিস্তানের দাবিকে উড়িয়ে দিল ভারত (CDS Confirms Jet Loss)
সাক্ষাৎকারে যখন চৌহানকে (CDS Confirms Jet Loss) জিজ্ঞেস করা হয়, পাকিস্তান যেভাবে দাবি করেছে তারা ছয়টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে, সেটা কি সত্যি? চৌহান জবাব দেন, “পুরোপুরি ভুল তথ্য… এবং এটা কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নয়। আসল ব্যাপারটা হল কেন সেগুলি ধ্বংস হয়েছে, এবং আমরা তারপরে কী করেছি।”
জবাব চাইছে কংগ্রেস, রিভিউ কমিটির দাবি
এই সাক্ষাৎকার সামনে আসার পর কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স (আগের টুইটার)-এ একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেন, “চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ যা বললেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে কি মোদি সরকার কোনও রিভিউ কমিটি গঠন করবে?”
তিনি লেখেন, “১৯৯৯ সালের ২৯ জুলাই বাজপেয়ী সরকার কারগিল যুদ্ধের তিন দিনের মধ্যেই ‘কারগিল রিভিউ কমিটি’ গঠন করেছিল। কমিটির প্রধান ছিলেন কে. সুব্রহ্মণ্যম, যাঁর পুত্র এখন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। পাঁচ মাস পরে এই কমিটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেয়। ‘From Surprise to Reckoning’ নামের সেই রিপোর্ট সংসদের দুই কক্ষে ২০০০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পেশ করা হয়েছিল কিছু তথ্য গোপন রেখে।”
জয়রাম রমেশ প্রশ্ন তোলেন, “মোদি সরকার কি এবার সিঙ্গাপুরে প্রতিরক্ষা প্রধানের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তেমনই কোনও পদক্ষেপ নেবে?”