ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের সাধারণ মানুষের জন্য সুখবর — শীঘ্রই রান্নার তেলের (Edible Oil Price Dropped) দাম কমতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মাধ্যমে অপরিশোধিত পাম তেল, সয়াবিন তেল এবং সূর্যমুখী তেলের উপর বসানো আমদানি শুল্ক অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে দেশের বাজারে ভোজ্য তেলের দাম সস্তা হবে এবং সাধারণ মানুষের পকেটে কিছুটা স্বস্তি আসবে।
কমানো হয়েছে শুল্ক (Edible Oil Price Dropped)
সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পাম তেল, সয়াবিন তেল ও সূর্যমুখী (Edible Oil Price Dropped) তেলের অপরিশোধিত আমদানি শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এটি ৩১ মে থেকে কার্যকর হবে এবং এর ফলে দেশের বাজারে রান্নার তেলের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত, এই উদ্যোগের লক্ষ্য খুচরা পর্যায়ে মুদ্রাস্ফীতি কমানো এবং স্থানীয় তেল পরিশোধন শিল্পকে শক্তিশালী করা।
ইতিবাচক প্রভাব (Edible Oil Price Dropped)
অন্যদিকে, এই আমদানি শুল্ক হ্রাসের ফলে ভারতের উদ্ভিজ্জ তেল (Edible Oil Price Dropped) পরিশোধন শিল্পেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, অপরিশোধিত তেলের আমদানি বাড়ার মাধ্যমে দেশীয় পরিশোধন শিল্পে গতি আসবে, যা কর্মসংস্থান ও শিল্প বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (SEA) সভাপতি সঞ্জীব আস্থানা বলেন, অপরিশোধিত তেলের শুল্ক কমানোর পাশাপাশি পরিশোধিত তেলের শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে, সরকার দেশীয় পরিশোধন খাতকে বিশেষভাবে উৎসাহিত করেছে। এতে ভারতীয় উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কিছুটা কমবে।
শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার ফলে…
তবে, পরিশোধিত তেলের উপর শুল্ক একই রেখেই, অপরিশোধিত তেলের শুল্ক কমানো একটি কৌশলী পদক্ষেপ। বর্তমানে ভারতের বাজারে পরিশোধিত তেলের আমদানি শুল্ক প্রায় ৩২.৫ শতাংশ, যেখানে কার্যকর শুল্ক ৩৫.৭৫ শতাংশ। অপরিশোধিত তেলের শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার ফলে, আমদানিকারকরা দেশীয় পরিশোধনশীল তেলের প্রতি ঝোঁক বাড়াবেন। এর মাধ্যমে দেশের ভোজ্যতেল শিল্পে নতুন বিনিয়োগ ও উন্নয়নের রাস্তা খুলবে।
ভোজ্যতেলের চাহিদা
ভারত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ১.৩২ লক্ষ কোটি টাকার ১৫৯.৬ লক্ষ টন রান্নার তেল আমদানি করেছে। দেশের ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ৫০ শতাংশ আমদানি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পাম তেল আমদানি করা হয় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া থেকে, যেখানে সয়াবিন তেল আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। এই দেশের উপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমিয়ে আনা ও দেশীয় শিল্পকে শক্তিশালী করাই সরকারের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: Jamai Sasthi Special Dinner: জামাইষষ্ঠীর ডিনারে থাক রুমালি রুটি আর চিকেন রেজালা, রেসিপি জানুন ঝটপট!
নতুন সুযোগ সৃষ্টি
এই পরিবর্তনের ফলে আগামী কয়েক মাসে রান্নার তেলের দাম কমতে শুরু করবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে। এছাড়াও, দেশীয় পরিশোধন খাতের উন্নয়ন হওয়ায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোতে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামও ধীরে ধীরে বাড়তে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক হতে পারে।