ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টানা বৃষ্টিপাত এবং ধসের জেরে উত্তর সিকিমে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারে সোমবার সকাল থেকে বড় আকারে অভিযান শুরু করেছে প্রশাসন (Sikkim Flood Landslide)। লাচুঙে আটকে থাকা বহু পর্যটককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে আনা হয়েছে, যদিও লাচেনের পরিস্থিতি এখনও জটিল। ধসের কারণে ওই এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে উদ্ধারকার্য চালানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসনিক সূত্র।
চলছে উদ্ধার অভিযান (Sikkim Flood Landslide)
রবিবার রাত পর্যন্ত উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে (Sikkim Flood Landslide)। তবে সোমবার সকালে কিছুটা আবহাওয়া উন্নতি হওয়ায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮টি গাড়িতে ইতিমধ্যেই ১০০-রও বেশি পর্যটককে লাচুঙ থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। অন্যদিকে, ছাতেন এলাকায় ধসের কবলে পড়ে একটি সেনা (INDIAN ARMY) ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং সেই দুর্ঘটনায় তিন জন জওয়ান শহিদ হয়েছেন, নিখোঁজ রয়েছেন আরও ছয় জন। রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এই ধস নামার সময় জওয়ানরা ক্যাম্পে ছিলেন। সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, নিখোঁজদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে (Sikkim Flood Landslide)।
সংকটে পাশে সাধারণ মানুষ (Sikkim Flood Landslide)
স্থানীয় মানুষও পাশে দাঁড়িয়েছেন এই সংকটের সময় (Sikkim Flood Landslide)। লাচুং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও স্থানীয় লাচুংপা সম্প্রদায়ের মানুষজন উদ্ধার কাজে স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন। পর্যটকদের গাড়িতে তুলতে কেউ ব্যাগ টেনেছেন, কেউ আবার দুর্গম রাস্তা ধরে গাইডের ভূমিকায় এগিয়ে এসেছেন। উল্লেখ্য, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে, যার ফলে নদীর ধারে ধস নামার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। ইতিমধ্যেই চুংথাঙ ও আশপাশের এলাকায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। প্রায় দেড় হাজার পর্যটক উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকে পড়েছিলেন বলে শনিবার প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছিল। সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে তাঁদের স্থানীয় হোটেল ও হোমস্টেতে অবস্থান করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যাতে উদ্ধার কাজ সংগঠিতভাবে পরিচালনা করা যায় (Sikkim Flood Landslide)।

বিকল্প রুট তৈরির কাজ চলছে (Sikkim Flood Landslide)
পর্যটকদের সরিয়ে আনতে বিভিন্ন রাস্তা খোঁজার পাশাপাশি হেলিকপ্টার ব্যবহারের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে, তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেই বিকল্প এখনই বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না (Sikkim Flood Landslide)। সিকিম রাজ্য সরকার ও সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন ঘটাতে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “লাচেনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। সেখানে উদ্ধার অভিযান চালাতে আরও সময় লাগবে।”