ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নন্দী মুভিজ প্রযোজিত নতুন ছবি ‘ফেরা’। ‘ফেরা’র হাত ধরেই প্রথমবার বাংলা ছবিতে সঞ্জয় মিশ্র (Sanjay Mishra)। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে বর্ষিয়ান অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রকে (Sanjay Mishra)। কী গল্প দেখানো হবে ছবিতে? অভিনয়ে কারা কারা থাকছেন?
ছবির গল্প (Sanjay Mishra)
বলিউড অভিনেতা হিসাবে সঞ্জয় মিশ্রকে চেনে না এমন মানুষ কমই আছেন (Sanjay Mishra)। কমেডি চরিত্রে তাঁর খ্যাতি প্রচুর। ‘ফেরা’ ছবিতে দেখানো হবে জীবনের দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা দুই পুরুষের গল্প। তাঁরা ঘটনাচক্রে একই ছাদের তলায় এসে দাঁড়াবে। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী (Ritwick Chakraborty) এবং সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। আর থাকছেন সঞ্জয় মিশ্র (Sanjay Mishra)। যিনি এই প্রথমবার বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন।
বড় প্রাপ্তি (Sanjay Mishra)
অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী, ফেরা ছবির অংশ হতে পেরে তিনি ভীষণ উৎসাহিত (Sanjay Mishra)। তাছাড়া পৃথা চক্রবর্তী (Pritha Chakraborty) যেভাবে ভাবেন আর তাঁর গল্পগুলোকে পর্দায় তুলে ধরেন, তাতে তিনি সবসময়ই প্রশংসা করেছেন। অভিনেতা মনে করেন, অভিনেতা সঞ্জয় মিশ্রের সাথে অভিনয় করতে পারাটা এক বিরাট সম্মানের বিষয়। অপরদিকে এই ছবিতে অভিনয় করছেন সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। অভিনেত্রীর কথায়, ‘ফেরা’য় তাঁর চরিত্রটি যদিও সংক্ষিপ্ত, তবে গল্পের প্রেক্ষিতে এর গভীর প্রভাব রয়েছে। তবে তিনি মনে করেন, অনেক সময় চরিত্রের দৈর্ঘ্যের চেয়ে প্রভাবটাই বড় হয়ে ওঠে। তিনিও ‘ফেরা’র অংশ হতে পেরে খুবই খুশি।
আরও পড়ুন: Arbaaz Khan: ৫৭ বছরে বাবা হচ্ছেন আরবাজ! কাকা সালমান।

নীরব সহাবস্থানের ছবি
ছবির গল্প অনুযায়ী, পান্নালাল এখন অবসরপ্রাপ্ত। মফস্বলের পুরনো বাড়িতে একা থাকেন। এককালে তিনি ছিলেন ফুটবল খেলোয়াড়। তাঁর ছেলে পলাশ। শহরের এক কর্পোরেট কোম্পানিতে সেলস ম্যানেজার। চাকরি বাঁচিয়ে চলার জন্য রোজ লড়ছেন। অর্থাৎ জীবনের দুই প্রান্তে থাকা দুই পুরুষ হঠাৎই একই ছাদের তলায় এসে পড়েন। ‘ফেরা’ ছবিতে দেখা যাবে এক নীরব সহাবস্থানের ছবি। যেখানে কম কথা, অস্বস্তি বেশি। কিন্তু ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে একটা বোঝাপড়া।
আরও পড়ুন: Alokananda Guha: ৬ বছর পর বিষ্ণুপ্রিয়া রূপে কামব্যাক! ভাগ্য খুলল অলকানন্দার?
ফিরে তাকানোর চেষ্টা
‘ফেরা’ ছবির পরিচালক পৃথা চক্রবর্তী (Pritha Chakraborty)। পরিচালক ছবিটিতে নিজের ভিতরে ফিরে তাকানোর চেষ্টা করেছেন। পরিচালক নিজে বড় হয়েছে মফস্বলের ছোট্ট শহরে। তাই ছবির প্রতিটা চরিত্রকেই তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। শুধু তাই নয়, এই ধরনের চরিত্রের সঙ্গে তিনি কিছুটা সময় যাপন করেছেন। ছবিটিতে মূলত প্রাধান্য পাবে, মধ্যবিত্তের ক্লান্তির আর সম্পর্কের দিকগুলো। যেগুলো খুব সাধারণ ও সত্যি। বলা ভালো, বাস্তব জীবনের কঠিন কিছু দিক। যেগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই।