ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমাদের চারপাশে এমন (Anger Issues) অনেক মানুষকে দেখা যায় যারা খুব সহজেই রেগে যান। সামান্য উসকানিতেই তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। এমন আচরণ শুধু মানসিক কারণেই নয়, জ্যোতিষ শাস্ত্রেও এর পিছনে গ্রহগত প্রভাব থাকতে পারে। বিশেষত মঙ্গল, রাহু ও শনি গ্রহের অশুভ প্রভাব থাকলে মানুষের রাগের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে এবং তারা খুব দ্রুত গরম মাথা হয়ে যেতে পারেন।
মঙ্গলের প্রভাব সবচেয়ে বেশি (Anger Issues)
মঙ্গলের প্রভাব সবচেয়ে বেশি তীব্রতা নিয়ে রাগকে প্রভাবিত (Anger Issues) করে। জ্যোতিষ মতে, মঙ্গলকে ‘যোদ্ধা গ্রহ’ বলা হয়, যা সাহস, শক্তি এবং আগ্রাসনের প্রতীক। কিন্তু যদি কারো জন্ম কুণ্ডলীতে মঙ্গল অশুভ অবস্থানে থাকে বা পাপগ্রহের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তি হঠাৎ হঠাৎ অকারণ রেগে যেতে পারেন। কথাগুলো ভাবেন না, তাতেই প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করেন। একে মাঙ্গলিক দোষ বলা হয়, যা রাগ এবং আগ্রাসনের প্রবণতাকে বাড়িয়ে দেয়।
রাহু গ্রহের প্রভাব একটু ভিন্ন (Anger Issues)
রাহু গ্রহের প্রভাব একটু ভিন্ন (Anger Issues) ধরনের। রাহুকে জ্যোতিষে ‘ছায়া গ্রহ’ হিসেবে ধরা হয়। এটি মানুষের মন ও আবেগকে অস্পষ্ট করে তোলে এবং বিভ্রান্তিকর ভাব তৈরি করে। রাহুর প্রভাবে মানুষ অহেতুক উত্তেজিত হয়, বাস্তবতা থেকে বিচ্যুত হয়ে কল্পনার জগতে হারিয়ে যায় এবং সহজেই রেগে বা বিরক্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে ব্যক্তির মানসিক অবস্থা স্থির থাকে না।
ধৈর্য হারানোর প্রবণতা
অন্যদিকে, শনি গ্রহ সাধারণত ধৈর্য, সংযম ও কঠোর পরিশ্রমের প্রতীক হলেও, যখন এটি রাহু, মঙ্গল বা কেতু এর সঙ্গে অশুভ অবস্থানে থাকে, তখন ধৈর্য হারানোর প্রবণতা বাড়ে। শনির সাড়ে সাতি বা ধৈয়ার সময়ে এসব প্রভাব বেশি দেখা যায়, যখন মানুষ ছোটখাটো বিষয় নিয়েও অসহনীয় রাগ দেখাতে পারে।
চন্দ্র গ্রহ মানসিকতার প্রতীক
চন্দ্র গ্রহ মানসিকতার প্রতীক। যদি চন্দ্র দুর্বল হয় বা অশুভ গ্রহ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন মনের অস্থিরতা এবং মানসিক ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এর ফলে রাগের মাত্রা বেড়ে যায় এবং নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Smell Of Clothes: বর্ষাকালে ভেজা কাপড়ে দুর্গন্ধ! সমস্যার সমাধান এখন হাতের মুঠোয়!
রাগ কমানোর জন্য কিছু সহজ কিন্তু কার্যকরী উপায় আছে। প্রতিদিন সকালে চন্দ্র ও শিবের উদ্দেশ্যে জল দান করা ভালো। এছাড়া ‘ওঁ শ্রী হনুমতে নমঃ’ মন্ত্রের জপ মানসিক শান্তির জন্য খুবই উপকারী। রক্তদান বা লাল রঙের বস্তু দান করাও ভালো প্রভাব ফেলে। প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার উপোস রেখে মঙ্গল ও শনিদেবের পূজা করলে শান্তি মেলে। যারা বেশি উদ্বিগ্ন, তারা রুদ্রাভিষেক বা মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের জপও করতে পারেন।
মানুষের রাগ শুধুমাত্র মানসিক কারণে নয়, জ্যোতিষীয় কারণে ও হতে পারে। তাই সঠিক প্রতিকার ও নিয়মিত আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে রাগের প্রবণতা অনেকটাই কমানো সম্ভব। নিজের মনের শান্তির জন্য এ ধরনের উপায় অবলম্বন করা উচিত।