ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের গর্ব, ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্ল-সহ চার মহাকাশচারীর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (ISS) অভিমুখে যাত্রা ফের স্থগিত করা হল। এই নিয়ে পঞ্চমবারের জন্য পিছিয়ে গেল বহু প্রতীক্ষিত এই মহাকাশ অভিযান (Shubhanshu Shukla)। ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স এবং অ্যাক্সিয়ম স্পেস-এর যৌথ উদ্যোগে চালানো এই অভিযানে ফের বাঁধ সাধল প্রযুক্তিগত ত্রুটি।বুধবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সময় অনুযায়ী শুভাংশুদের মহাকাশে পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল আমেরিকার ফ্লরিডা থেকে। তাঁদের বহন করার কথা ছিল স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ মহাকাশযান, যা উৎক্ষেপণের জন্য নির্ধারিত ছিল ফ্যালকন-৯ রকেটে। কিন্তু উৎক্ষেপণের ঠিক আগেই রকেটের গুরুত্বপূর্ণ অংশে ‘LOX’ (Liquid Oxygen) লিক করার সমস্যা ধরা পড়ে।
প্রযুক্তিগত সমস্যায় বিপর্যস্ত পরিকল্পনা (Shubhanshu Shukla)
স্পেসএক্স এক্স হ্যান্ডলে জানায়, মহাকাশযানের ‘ফায়ার বুস্টার’ পরীক্ষা চলাকালীন অক্সিজেন লিকের বিষয়টি সামনে আসে(Shubhanshu Shukla)। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিষয়, কারণ অক্সিজেন লিক রকেটের জ্বালানি জোগানে সমস্যা তৈরি করতে পারে, এমনকি বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও থাকে। স্পেসএক্স আরও জানায়, এই সমস্যা একেবারে নতুন নয়। পূর্ববর্তী অভিযানে-ও এই একই ধরনের সমস্যা দেখা গিয়েছিল। ফলে আপাতত শুভাংশুদের যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে এবং নতুন উৎক্ষেপণের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। সংস্থা জানায়, প্রযুক্তিগত সমস্যা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারলেই চূড়ান্ত দিনক্ষণ জানানো হবে।
মঙ্গলবারের আবহাওয়াজনিত বিলম্বের পর ফের ধাক্কা (Shubhanshu Shukla)
উল্লেখযোগ্যভাবে, মঙ্গলবার খারাপ আবহাওয়ার কারণেও যাত্রা পিছিয়ে যায়(Shubhanshu Shukla)। এরপর বুধবার সম্ভাব্য উৎক্ষেপণের দিন ছিল। কিন্তু রকেটের ত্রুটি সেই পরিকল্পনাকেও বানচাল করে দেয়। একাধিক বার দিন স্থির করে যাত্রা পিছিয়ে যাওয়ায় এই মিশন ঘিরে উদ্বেগও বাড়ছে।

আরও পড়ুন: COVID Test : প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের আগে বাধ্যতামূলক কোভিড পরীক্ষা, সতর্কতা জারি কেন্দ্রের
রাকেশ শর্মার পরে ভারতীয়র মহাকাশযাত্রা (Shubhanshu Shukla)
এই মিশনের অন্যতম পাইলট হিসেবে রয়েছেন শুভাংশু শুক্ল। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহাকাশচারী রাকেশ শর্মা-র প্রায় চার দশক পরে আবার কোনও ভারতীয় মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন(Shubhanshu Shukla)। এই অভিযানের নাম Axiom-4, যেখানে ১৪ দিন মহাকাশে কাটাবেন শুভাংশু ও তাঁর সঙ্গীরা। ISS-এ অবস্থানকালীন তাঁরা নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ও গবেষণায় অংশগ্রহণ করবেন। এই মিশনের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের ISRO-র ‘গগনযান’ প্রকল্পের ভিত্তি তৈরি করবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই যাত্রা পিছিয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছে, তবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং সতর্কতা সব কিছুর ঊর্ধ্বে। প্রযুক্তিগত ত্রুটি সমাধানের পরই নতুন করে মহাকাশযাত্রার দিন ঘোষণা করা হবে। গোটা দেশ এখন শুভাংশুদের সাফল্য ও নিরাপদ যাত্রার প্রহর গুনছে।