ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আমেরিকার মিনেসোটায় বাড়িতে ঢুকে দুই ডেমোক্র্যাট নেতাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে(Democratic leader)। পৃথক ঘটনায় আরও দুই ডেমোক্র্যাট নেতাও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই হামলার পর থেকে আততায়ীদের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। চার ডেমোক্র্যাট নেতার উপর হামলার নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অনেকেই দাবি করছেন।
আমেরিকায় বন্দুকবাজের হামলা (Democratic leader)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে মিনেসোটার চ্যাম্পলিনে মেলিসার বাড়িতে পুলিশের ছদ্মবেশে আসেন এক যুবক(Democratic leader)। দরজা খুলতেই দম্পতিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ী। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। এরপরই সেখান থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়াল্জ জানিয়েছেন, এই হামলায় নিহত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট নেতা মেলিসা হর্টম্যান এবং তাঁর স্বামী। মিনিয়েপলিসের কাছে ব্রুকলিং পার্কে থাকতেন মেলিসা। এই আবহে তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। খুন হওয়ার কিছু আগের সেই ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মেলিসা। প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ করার পক্ষে ভোট দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের মতামত তুলে ধরতে গিয়েই ক্যামেরার সামনে ভেঙে পড়েছিলে মেলিসা। সেই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে নিজের বাড়িতে স্বামী-সহ খুন হন তিনি।

দ্বিতীয় হামলা (Democratic leader)
আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, শুধু মেলিয়াই নয়, সেনেটর তথা আর এক ডেমোক্র্যাট নেতা জন হফম্যান এবং তাঁর স্ত্রীকেও গুলি করা হয়েছে। দু’জনের অবস্থাই সঙ্কটজনক। মিনোসোটার গভর্নরের দাবি, এই হামলা পরিকল্পিত এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। হামলাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। সংবাদ সংস্থা এপি-কে নিহতদের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, পুলিশ অফিসারের পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল আততায়ী। তারপরই হামলা চালায়।সেনেটর টিনা স্মিথ জানিয়েছেন, হামলাকারীর গাড়িতে একটি তালিকা পাওয়া গিয়েছে। সেই তালিকায় ৭০ জনের নাম রয়েছে। বেশির ভাগই ডেমোক্র্যাট নেতা। আর এখান থেকেই তাঁদের সন্দেহ, এই ঘটনার নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ থাকতে পারে।
আরও পড়ুন-Donald Trump: ‘আমাদের উপর হামলা হলে…,’ ইরানকে তছনছ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
রাজনৈতিক শত্রুতা (Democratic leader)
কী কারণে ডেমোক্র্যাট নেতাদের উপর এই হামলা চালানো হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়(Democratic leader)। তবে প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দাদের অনুমান, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই খুন হয়েছেন মোলিসা। ঠিক একই কারণে হফম্যানের উপরও হামলা চালানো হয়। তবে সবদিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করা হবে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। আততায়ীর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশিও।পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন বন্দুককারী প্রথমে হফম্যান দম্পতিকে গুলি করে। সেই ঘটনার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে হর্টম্যান দম্পতির বাড়িতেও একই ঘটনা ঘটানো হয়। অভিযুক্তকে ধরতে বড় অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন-Iran-Israel conflict: ইজরায়েলে পর পর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের, আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াল তেল আভিভ
মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিক্রিয়া (Democratic leader)
এই হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘মিনেসোটার ভয়াবহ গুলির ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জানানো হয়েছে(Democratic leader)। মনে হয়, আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিশানা করা হচ্ছে।’ হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি জেনেছেন ট্রাম্প। অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডি এবং এফবিআই পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, বাদামী চুল, নীল শার্ট এবং নীল প্যান্টের উপর কালো বডি আর্মার পরে আছে। আইন প্রয়োগকারী হিসাবে ভুয়ো পরিচয়ে সে এই দুই হামলা চালিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির আসল নাম ভান্স বোয়েল্টার। পুলিশ সেই অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ করেছে।
