ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল(Census)। এবার জনগণনার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এর ফলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর পড়ল। সোমবার ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং জনশুমারি কমিশনার (আরজিসিসিআই) মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণের তরফে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
দেশজুড়ে জনগণনা (Census)
পূর্বঘোষণা মতোই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু হবে(Census)। তবে ওই সময় হিমালয় ঘেরা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং দুই রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা তুষারাবৃত থাকে। তাই ওই এলাকাগুলিতে ২০২৬-এর অক্টোবর থেকেই শুরু হবে জনগণনার কাজ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গত ১৫ জুন নয়াদিল্লিতে একটি বৈঠকে আসন্ন জনগণনার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছেন।অমিত শাহ এক্স-এ একটি পোস্টে বিস্তারিত জানিয়ে বলেছেন, ‘আমি ১৬তম জনগণনার প্রস্তুতি পর্যালোচনা করেছি।আগামীকাল জনগণনার গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। এই জনগণনায় প্রথমবারের মতো জাতভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত হবে। প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকারী ও সুপারভাইজার এবং প্রায় ১.৩ লক্ষ জনগণনা কর্মী অত্যাধুনিক মোবাইল ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে এই কাজ সম্পন্ন করবেন।’

জনগণনার দুটি পর্যায় (Census)
জনগণনা দুটি পর্যায়ে পরিচালিত হবে(Census)। প্রথম পর্যায়ে, হাউস লিস্টিং অপারেশন (এইচএলও) এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের আবাসন পরিস্থিতি, সম্পদ এবং সুযোগ-সুবিধার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে, পপুলেশন এনুমারেশন (পিই) এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির জনসংখ্যাগত, সামাজিক-অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অন্যান্য বিবরণ সংগ্রহ করা হবে। এই জনগণনায় জাতভিত্তিক গণনাও অন্তর্ভুক্ত হবে, যা ভারতের জনগণনার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।এই কাজে প্রায় ৩৪ লক্ষ গণনাকারী ও সুপারভাইজার এবং ১.৩ লক্ষ জনগণনা কর্মী নিয়োজিত হবেন। এটি ভারতের ১৬তম জনগণনা এবং স্বাধীনতার পর ৮ম জনগণনা। এই জনগণনা সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে, যেখানে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হবে।তথ্য সংগ্রহ, প্রেরণ এবং সংরক্ষণের সময় কঠোর তথ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন-Second black box: ‘অভিশপ্ত’ এয়ার ইন্ডিয়া বিমানের দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সের হদিশ
জনগণনার তাৎপর্য (Census)
ভারতের জনগণনা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা দেশের জনসংখ্যা, সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা, শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করে(Census)। এই তথ্য সরকারের নীতি প্রণয়ন, পরিকল্পনা এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এবারের জনগণনায় জাতভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্ত করা একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এটি ভারতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শিক্ষাগত অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করবে। এই তথ্য সরকারকে আরও ন্যায়সঙ্গত এবং সমতাভিত্তিক নীতি প্রণয়নে সহায়তা করবে। তবে, জাতভিত্তিক গণনার বিষয়টি বিতর্কেরও জন্ম দিতে পারে, কারণ এটি সংবেদনশীল বিষয়। তাই, এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আরও পড়ুন-PM Modi: ‘১৪০ কোটি ভারতীয় দাবিদার!’ প্রধানমন্ত্রীকে সাইপ্রাসের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান
ভবিষ্যৎ প্রভাব (Census)
এই জনগণনা ভারতের জনসংখ্যাগত ও সামাজিক-অর্থনৈতিক চিত্র তুলে ধরবে, যা সরকারের পরিকল্পনা ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে(Census)। ডিজিটাল পদ্ধতি এবং স্ব-গণনার সুযোগ এই প্রক্রিয়াকে আরও দক্ষ করবে। তবে, তথ্য নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা নিশ্চিত করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।এই জনগণনা ভারতের উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে। জাতভিত্তিক গণনা সহ এই প্রক্রিয়া দেশের সামাজিক কাঠামোর একটি বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরবে এবং ভবিষ্যৎ নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে।
