ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের কোনও (India Pakistan Relation) ভূমিকা ভারত কখনও মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও নেবে না: এই বার্তা আরও একবার সরাসরি পৌঁছে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রায় ৩৫ মিনিটের ফোনালাপে এই বার্তা দেন তিনি। বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর মতে, আলোচনার কেন্দ্রে ছিল সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ।
কানাডায় অবস্থানকালে ফোনালাপ (India Pakistan Relation)
জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে কানাডায় অবস্থানকালে (India Pakistan Relation) এই ফোনালাপ হয়। মোদি ট্রাম্পকে স্পষ্ট জানান, ভারত এখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘ছায়াযুদ্ধ’ নয়, বরং সরাসরি প্রতিক্রিয়া নেয়। পহেলগাঁও হামলার পর ‘অপারেশন সিদুঁর’-এর মাধ্যমে পাক-অধিকৃত অঞ্চলে যে কৌশলগত প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তা ছিল সম্পূর্ণভাবে প্রতিরক্ষামূলক ও টার্গেটেড। প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, এ ধরনের বিষয়ের নিষ্পত্তিতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের প্রশ্নই ওঠে না।
ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আপসের জায়গা নয় (India Pakistan Relation)
আলোচনার সময় ট্রাম্প জানতে চান ‘অপারেশন সিদুঁর’-এর বর্তমান (India Pakistan Relation) অবস্থা সম্পর্কে। জবাবে মোদি বলেন, এই অপারেশন এখনও চলমান এবং ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আপসের জায়গা নয়। ভারত কখনও গোলার জবাবে মৌখিক বিবৃতি দেয় না, প্রয়োজনে সম্মুখ সমরে এর জবাব দেয়, এই কথাও স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ
এদিকে, এই আলোচনার কিছুক্ষণের মধ্যেই হোয়াইট হাউসে সাক্ষাতের কথা রয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের। তাঁরা মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ মহলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও জানা গিয়েছে। ফলে মোদি-ট্রাম্প ফোনালাপ কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

মধ্যস্থতা নয়
বারবার ভারতের তরফে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও আলোচনার দরজা আপাতত বন্ধ। কেবলমাত্র সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনার বিষয়েই এখন কথা হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে চাইলেও, ভারত সেসব স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: Shani Vakri 2025: ২০২৫ সালে শনির প্রতিগামী গতি, তুলা রাশির জন্য আশার আলো?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সময়োপযোগী বার্তা আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ভারত যে কোনওরকম আপস করে না, সেই বার্তাই পৌঁছে দেবে বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে।