ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলার দু’মাসের মাথায় বড় ব্রেক থ্রু! গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনার দগদগে ক্ষত আজও ভারতের বুকে লেগে(NIA)। ঘটনার জবাবি হামলায় ভারতের তরফে পাকিস্তানের বুকে ‘ অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চলে। এদিকে, পহেলগাঁও হামলা ঘিরে তদন্তে নামে এনআইএ। ৩ জঙ্গির খোঁজ শুরু হয়। সেই ঘটনাতেই এবার এনআইএর জালে ২ জন ধরা পড়েছে। জানা গিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ওই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সাফল্য (NIA)
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পহেলগাঁও হামলার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে তারা(NIA)। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীদের কাশ্মীরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া থেকে পরিকল্পনায় সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পারভেজ আহমেদ জোঠার নামের এক জঙ্গি কাশ্মীরের বাতকোটের এবং বসির আহমেদ জোঠার নামের ওপর জঙ্গি হিলপার্কের বাসিন্দা। তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।এনআইএ’র তদন্তে উঠে এসেছে, ওই দুই জঙ্গি পহেলগাঁওয়ের হিলপার্ক এলাকায় কুঁড়ে ঘর তৈরি করে জঙ্গিদের আশ্রয় দিয়েছিল। তাদের খাবারদাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের ব্যবস্থাও এরাই করেছিল।

তিন জঙ্গিকে আশ্রয় (NIA)
ধৃতেরা জানিয়েছেন, যে তিন জঙ্গিকে তাঁরা আশ্রয় দিয়েছিলেন, তাঁরা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সদস্য এবং পাকিস্তানি নাগরিক(NIA)। এনআইএ সূত্রে খবর, ধৃতেরা স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা পরিচয় জানার পরেও তিন পাক জঙ্গিকে আশ্রয় দেন এবং সাহায্য করেন। ওই দুই আশ্রয়দাতার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ১৯ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের নামের তালিকায় ওই দু’জনের নামও ঢুকিয়েছে এনআইএ। বস্তুত, পহেলগাঁও জঙ্গিহানার দু’মাসের মাথায় গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত তথ্য পেয়েছেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এনআইএ জানিয়েছে, নাম-পরিচয় জিজ্ঞাসা করেই পর্যটকদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা।

আরও পড়ুন-India: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ! ইরান থেকে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের নাগরিকদেরও ফিরিয়ে আনছে ভারত
পাকিস্তানের নাগরিক (NIA)
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ওই দুই জঙ্গি কাশ্মীরের বাসিন্দা হলেও আসলে তারা পাকিস্তানের নাগরিক(NIA)। দুজনেই লস্কর-ই-তৈবার সদস্য। ভারতে হামলার উদ্দেশে অনেকদিন আগেই কাশ্মীরে এসে বাসা বাঁধে তারা। এই দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মূল হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, তারা এলাকায় স্থানীয় ব্যবসা করত। মরশুম ভিত্তিক যে ছাউনিগুলো পাহাড়ের গায়ে তৈরি হয়, যেখানে মূলত মেষপালকরাই থাকে, যেগুলোকে স্থানীয় ভাষায় বলা হয় ঢোক, সেখানেই জঙ্গিদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বসিররা। তাদের থাকা-খাওয়াদাওয়া সব কিছুরই ব্যবস্থা করেছিল। তারপর হামলার পর তাদের পালানোরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিল বলে এনআইএ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন-DGCA: নিরাপত্তায় গুরুতর গাফিলতির অভিযোগ! এয়ার ইন্ডিয়ার ৩ কর্মী বরখাস্ত
পহেলগাঁও হামলা (NIA)
পহেলগাঁও জঙ্গিহানায় পাক-যোগের কথা আগেই জানা গিয়েছে(NIA)। ইসলামাবাদ শুরু থেকে তা অস্বীকার করলেও ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ভারত-পাক সংঘর্ষের পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দিতে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সাতটি দল বিভিন্ন দেশে সফর করেছে।আসলে পহেলগাঁও হামলার পর দু’মাস পেরিয়েছে। অথচ এখনও মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে ২৬ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা জঙ্গিরা। এ পর্যন্ত কাশ্মীরে বেশ কয়েকটি অভিযান ও ধরপাকড় চালিয়েও হামলার মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার বা নিকেশ করা যায়নি। তবে এনআইএর আশা, এই দুই জঙ্গিকে জেরা করে মূল হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
