ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শনিবার শান্তির নোবেলের জন্য নাম ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেছিল পাকিস্তান(US Attack)। কিন্তু পরের দিনই ইরানের উপর বোমা ফেলার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তুলোধোনা করল শাহবাজ শরিফের দেশ। পাক বিদেশমন্ত্রীর তরফে বিবৃতি দিয়ে মার্কিন আচরণের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। জানাল, আন্তর্জাতিক আইন মেনে প্রতিরক্ষার অধিকার রয়েছে তেহরানের। যে ভাবে এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে পাকিস্তান।সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক।
আমেরিকার তীব্র নিন্দা পাকিস্তানের (US Attack)
রবিবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক এক্সে নিজেদের বিবৃতি পোস্ট করেছে(US Attack)। সেই বিবৃতি পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে যে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা, পাকিস্তান তাকে ধিক্কার জানাচ্ছে। ইজরায়েলের হামলার পরে এই হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। এই অঞ্চলে যে ভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা উদ্বেগজনক।’ পাকিস্তান আরও লিখেছে, ‘আমরা স্পষ্ট করছি যে, এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। রাষ্ট্রসংঘের সনদ অনুযায়ী, ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।তাদের আরও বক্তব্য, ‘আমরা মনে করি, নাগরিকদের জীবন এবং সম্পত্তিকে সম্মান করা উচিত। এই সংঘাতে এখনই ইতি টানা দরকার। সব পক্ষেরই আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা প্রয়োজন। বিশেষত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে চলা প্রয়োজন।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা পাকিস্তানের (US Attack)
এর আগে ইজরায়েলের হামলার নিন্দা করলেও আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই চলছিল পাকিস্তান(US Attack)। হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। ট্রাম্পের মধ্যাহ্নভোজের আমন্ত্রণেই তিনি গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে কথা হয়, পরে তা বিবৃতি দিয়েও জানায় পাকিস্তান। এই আবহে শনিবার ‘ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেওয়ার’ কৃতিত্ব ট্রাম্পকে দিয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম সুপারিশ করে ইসলামাবাদ। তাতে এক প্রকার অসন্তোষই প্রকাশ করে ইরান। নয়াদিল্লিতে ইরানি দূতাবাসের উপপ্রধান জাভেদ হোসেইনি বলেন, ‘যুদ্ধে কোনও তৃতীয় পক্ষ জড়িয়ে পড়লে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে।’ কিন্তু তারপরে একদিন কাটতে না কাটতেই উলটপুরাণ পাকিস্তানের।
আরও পড়ুন-Iran: প্রত্যাখ্যাত শুরু! আমেরিকার হামলার পরেই ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ ইরানের
ইরানে হামলা আমেরিকার (US Attack)
শনিবার (স্থানীয় সময়) রাতে ইরানের অন্তত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালায় আমেরিকা। ইরানের ওই তিন পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রগুলি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে মার্কিন সেনা(US Attack)।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকার সেনাবাহিনী ইরানের ফরডো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে ‘সফল ভাবে’ হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা না করে ইরানে আঘাত হানার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, ‘এবার শান্তির সময়।’ সেই সঙ্গে ইরানের উদ্দেশে তাঁর প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি, ‘এবার শান্তির পথে না ফিরলে হামলা আরও প্রাণঘাতী হবে।’ইরানের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা, ‘এবার ইরানকে দ্রুত শান্তিস্থাপন করতে হবে, নাহলে বিপর্যয় ঘটবে। গত কয়েক দিনে যে বিপর্যয় বিশ্ব দেখেছে, সেটার চেয়ে অনেক বেশি ভয়ংকর হবে ওই বিপর্যয়।’

আরও পড়ুন-US: মার্কিন সাবমেরিন থেকে মিসাইল হামলা ইরানে; উপগ্রহচিত্রে জল্পনা
পাকিস্তানের উলটপুরাণ (US Attack)
ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য তথা ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কোর-এর (আইআরজিসি) সিনিয়র জেনারেল মোহসেন রেজাই বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদি ইজরায়েল ইরানের উপর পরমাণু বোমা ফেলে, তাহলে তারাও পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ইজরায়েলকে আক্রমণ করবে(US Attack)।’ যদিও গত ১৩ জুন ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে ইজরায়েল সরাসরি হামলা চালানোর পরে পাকিস্তান সরকারের কোনও শীর্ষ আধিকারিককে জনসমক্ষে এ ধরনের বিবৃতি দিতে দেখা যায়নি। তবে তেহরানে হামলার পরেই বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যের স্বার্থে ইরানের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেয় পাকিস্তান। এমনকি, দুই দেশের যুদ্ধে সরাসরি ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েলকে নিশানা করেছেন পাকিস্তানের শীর্ষকর্তারা। পাক বিদেশমন্ত্রী দার বলেন, ‘ইরানের উপর ইজরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ইরানের জনগণের পাশে রয়েছে।’
