ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা(PM Modi)। আর তারপর থেকেই পশ্চিম এশিয়ায় সংঘর্ষের পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইরান ও ইজরায়েল দুই দেশকেই সংঘর্ষ বন্ধ রেখে আলোচনার টেবিলে বসার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। এর মাঝেই রবিবার দুপুরে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী-ইরানের প্রেসিডেন্ট আলোচনা (PM Modi)
রবিবার দুপুর ৩টে নাগাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে(PM Modi)। ফোন কথোপকথনে পশ্চিম এশিয়ার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন মোদী। একই সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টকে উত্তেজনা প্রশমনেরও আর্জি জানিয়েছেন।গোটা ঘটনায় উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী আলোচনার মাধ্যমে কূটনৈতিক পথে দ্রুত সমাধানের রাস্তা খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মধ্যে সবিস্তার কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আরও একবার আলোচনা এবং কূটনীতির মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং সুস্থিতি দ্রুত ফিরে আসুক।’

নিরপেক্ষ ভূমিকায় ভারত (PM Modi)
ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে চলা এই যুদ্ধে শুরু থেকেই নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়েছে ভারত(PM Modi)। একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মেতে ওঠা দুই দেশই ভারতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ফলে শুরু থেকেই এই যুদ্ধ থামাতে দুই দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে নয়াদিল্লি। আবেদন জানানো হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার। তবে যময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাচ্ছে। এই আবহে ইজরায়েলের হামলার পরেই ইরান থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সিন্ধু’।ইতিমধ্যেই ভারতীয় পড়ুয়াদের জন্য আকাশপথ খুলে দিয়েছে ইরান। তারপরেই শুক্র ও শনিবার মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ছাত্রকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছেছে বিশেষ বিমান। বাকিদেরও ফিরিয়ে আনার তোড়জোড় চলছে।
আরও পড়ুন-US Attack: উলটপুরাণ! নোবেলের জন্য ট্রাম্পের নাম প্রস্তাবের পরেই আমেরিকার নিন্দায় পাকিস্তান
ভারতের উদ্বেগ (PM Modi)
আমেরিকাকে এর পাল্টা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান(PM Modi)। এমনকি বিশ্বব্যাপী তেল রপ্তানির অন্যতম হরমুজ প্রণালী বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।এই প্রণালী বন্ধ হয়ে গেলে তা ভারতের জন্য যথেষ্ট উদ্বেগের। ভারত সরাসরি ইরান থেকে খুব বেশি তেল আমদানি না করলেও, ভারতকে নিজের চাহিদার ৮৫ শতাংশের বেশি তেল বাইরে থেকে কিনতে হয়। এই আমদানির প্রায় ৫০ শতাংশ হরমুজ প্রণালী (বাণিজ্য পথ) দিয়ে আসে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের প্রায় ২০ শতাংশ বাণিজ্য এই পথ দিয়ে হয়। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা এই যুদ্ধের জেরে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে ভারতের বাণিজ্য বিরাট বাধার সম্মুখীন হবে। ইরাক, সৌদি আরব, আরব আমিরশাহী থেকে আসা তেলের সাপ্লাই বাধাপ্রাপ্ত হবে। যার প্রভাব সরাসরি পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।

আরও পড়ুন-NIA: বড় ব্রেক থ্রু! পহেলগাঁওকাণ্ডে এএনআই-এর জালে ২ আশ্রয়দাতা
আমেরিকায় হাই অ্যালার্ট (PM Modi)
ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাতে ঢুকে পড়েছে আমেরিকা(PM Modi)। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইরানের তিনটি পরমাণকেন্দ্রে ‘সফল’ বোমা হামলার কথা। এরপর থেকেই আমেরিকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শহরে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সেই তালিকায় রয়েছে ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্কের মতো বিলাসবহুল শহর। ফক্স নিউজেরর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সতর্কতা হিসাবেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।নিউ ইয়র্কের পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এক্স হ্যান্ডল পোস্টে লিখেছে, ‘ইরানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার দিকে আমরা নজর রাখছি। সেই সঙ্গে নিউ ইয়র্কের বিভিন্ন ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং ডিপ্লোম্যাটিক কেন্দ্রগুলিতে অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করছি। নিউ ইয়র্কের উপর সামগ্রিক প্রভাবের ব্যাপারেও আমরা সতর্ক থাকছি।’নিউ ইয়র্কের পর মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিপার্টমেন্টও একই ধরনের সতর্কবার্তা জারি করেছে।লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়রও একই ধরনের সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
