ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলায় বৃহস্পতিবার অন্তত ২১ জন প্যালেস্টাইনির মৃত্যু হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ(Gaza Strip)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আকাশপথে হামলা ও স্থল থেকে গুলিবর্ষণ উভয়ই চালিয়েছে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী।
আশ্রয়কেন্দ্রেও রেহাই নেই (Gaza Strip)
বৃহস্পতিবার সকালে গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি পরিত্যক্ত স্কুলে ঘরছাড়া বহু পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল(Gaza Strip)। সেখানেই ইজরায়েলি বিমান হানা চালায়, যাতে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক।একই দিনে দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শহরে একটি অস্থায়ী আশ্রয় শিবিরের কাছে বিস্ফোরণ ঘটায় ইজরায়েলি বাহিনী। নিহত হয়েছেন আরও ৯ জন। এছাড়া মধ্য গাজায় রাষ্ট্রপুঞ্জের ত্রাণবাহী গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা মানুষের ভিড়ের মধ্যেও গোলাবর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেখানে ৩ জন নিহত হয়েছেন।
বুধবারও তাণ্ডব চলেছিল (Gaza Strip)
এই ঘটনার মাত্র এক দিন আগে, বুধবার, গাজার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণে অন্তত ৫১ জন প্যালেস্টিনির মৃত্যু হয়েছিল(Gaza Strip)। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী (Israel Defense Forces) জানিয়েছিল, এই হামলা ছিল প্রতিশোধমূলক, কারণ মঙ্গলবার রাতে হামাসের এক বিস্ফোরণে তাদের সাত সেনা, যার মধ্যে একজন লেফটেন্যান্ট, নিহত হয়।

ইজরায়েল কী বলছে? (Gaza Strip)
এই নতুন হামলা নিয়ে ইজরায়েলি সেনার পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনো মেলেনি। তবে ইজরায়েলের দাবি, তারা গাজ়া থেকে হামাসকে নির্মূল করে সমস্ত জিম্মি মুক্ত করতে চায়। তাদের যুক্তি, হামাস সাধারণ মানুষের বসতি ও স্কুল-হাসপাতালকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, তাই অসামরিক এলাকায় আঘাত লাগছে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক বেসামরিক মৃত্যুর দায় তারা হামাসের উপরেই চাপাচ্ছে।
প্যালেস্টিনিদের অভিযোগ (Gaza Strip)
প্যালেস্টিনিদের অভিযোগ, ইজরায়েল সরাসরি মানবিক আইন লঙ্ঘন করছে, যুদ্ধবিরতির পরও আশ্রয়কেন্দ্র ও ত্রাণসেবায় বাধা সৃষ্টি করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই আক্রমণকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করার দাবি তুলেছে।

আরও পড়ুন: Pashan Hriday Tagores Sculpture : নিলামে রবীন্দ্রনাথের পাষাণে আঁকা অভিমান- ‘পাষাণহৃদয়’ ও ৩৫ চিঠি!
ইজরায়েল–হামাস যুদ্ধের এক বছর পূর্ণ হতে না হতেই গাজার আকাশ আবার রক্তাক্ত। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া স্কুল, ত্রাণ কেন্দ্র ও আশ্রয়শিবির গুলিও আজ আর নিরাপদ নয়। এই মুহূর্তে গাজার বহু এলাকা জল, খাবার ও চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। তবুও চলতে থাকা হামলায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সীমাহীন হয়ে উঠছে। মানবতার প্রশ্নে এই সংঘাতকে থামানো এখন বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।