ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার (Black Boxes) প্রায় দু’সপ্তাহ পর তদন্তে বড় অগ্রগতি। এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত ড্রিমলাইনার AI-171 বিমানের দুইটি ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য সম্পূর্ণভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এখন সেই তথ্য নিয়ে বিশদ পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী সংস্থা (AAIB)।আশা করা হচ্ছে, এই তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমেই জানা যাবে ১২ জুনের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।
ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধার সম্পূর্ণ (Black Boxes)
গত ১২ জুন আহমেদাবাদের মেঘানিনগরের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। উড়ানের মাত্র পাঁচ মিনিট পরই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৩ জুন উদ্ধার করা হয় বিমানের ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR)। সেটি পাওয়া যায় সেই বাড়ির ছাদ থেকে, যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল। এরপর ১৬ জুন ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার হয় ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)। উভয় ব্ল্যাক বক্স (Black Boxes) ২৪ জুন ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে কড়া নিরাপত্তায় আহমেদাবাদ থেকে দিল্লির AAIB দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন রাত থেকেই তথ্য উদ্ধারের কাজ শুরু করেন প্রযুক্তিবিদরা। বিমানের সামনের ব্ল্যাক বক্স থেকে ক্র্যাশ প্রোটেকশন মডিউল এবং পরে মেমরি মডিউল উদ্ধার করে সেগুলির তথ্য ডাউনলোড করা হয় গবেষণাগারে।
আরও পড়ুন : Pashan Hriday Tagores Sculpture : নিলামে রবীন্দ্রনাথের পাষাণে আঁকা অভিমান- ‘পাষাণহৃদয়’ ও ৩৫ চিঠি!
কী তথ্য দেয় CVR এবং FDR ? (Black Boxes)
ব্ল্যাক বক্সের CVR এবং FDR এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশ থেকেই উড়ানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। FDR বিশ্লেষণ করে জানা যায় বিমান কোন রুটে উড়ছিল, কত উচ্চতায় ছিল, গতি কত ছিল এবং ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রপাতির (Black Boxes) অবস্থা কেমন ছিল।CVR থেকে বোঝা যায় ককপিটে পাইলটদের মধ্যে ঠিক কী কথাবার্তা হয়েছিল, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল (ATC)-এর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ হচ্ছিল এবং উড়ানের সময় কর্মী বা যাত্রীদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছিল।
ব্ল্যাক বক্স বিদেশে নয়, দেশেই চলছে পরীক্ষানিরীক্ষা
তথ্য উদ্ধারের কাজ শেষ। এখন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের পর প্রকাশ পাবে এআই-১৭১ দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ।কেন্দ্রীয় মন্ত্রক জানিয়েছে, ব্ল্যাক বক্স বিদেশে পাঠানো হয়নি। ভারতেই রয়েছে প্রয়োজনীয় গবেষণাগার ও প্রযুক্তি। AAIB-এর প্রযুক্তিবিদদের তত্ত্বাবধানে তথ্য পরীক্ষার কাজ চলেছে। আইন মেনেই তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে বলে স্পষ্ট করা হয়েছে মন্ত্রকের তরফে।গোটা দেশ এখন তাকিয়ে রয়েছে AAIB-এর রিপোর্টের দিকে।এই বিপর্যয় শুধু প্রাণহানি নয়, ভবিষ্যতের উড়ান নিরাপত্তা নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। ব্ল্যাক বক্স থেকে পাওয়া তথ্য যদি সত্যিই দুর্ঘটনার কারণ সামনে আনতে পারে, তাহলে সেই তথ্য ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা রুখতেও সাহায্য করবে।