ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির (Rathayatra 2025) উদ্বোধনের পর এই বছরই প্রথমবার রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, আর তা ঘিরে দিঘায় দেখা গিয়েছে নজিরবিহীন উৎসবের আমেজ। লাখ লাখ ভক্ত ও পর্যটকের উপস্থিতিতে শহর যেন রঙে ও ভক্তিভাবনায় মেতে উঠেছে। তিনটি রথ জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার যাত্রা প্রস্তুত। পবিত্র রশিতে টান দিতে ইতিমধ্যেই দীর্ঘ লাইন।
ঝাড়ু দিয়ে রথযাত্রার সূচনা (Rathayatra 2025)
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি এবং তদারকিতে (Rathayatra 2025) এবারের রথযাত্রা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেমন পুরীতে রথযাত্রার আগে রাজা স্বর্ণঝাড়ু দেন, তেমনই দিঘাতেও মুখ্যমন্ত্রী নিজ হাতে ঝাড়ু দিয়ে রথযাত্রার সূচনা করেন। ইসকনের সহ-সভাপতি রাধারমন দাসও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে পুজোপাঠে অংশ নেন।
মূল আয়োজন শুরু (Rathayatra 2025)
রথযাত্রার মূল আয়োজন শুরু হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে পুজোপাঠের (Rathayatra 2025) মাধ্যমে। দুপুর ২টা থেকে ২.৩০-এর মধ্যে সম্পন্ন হয় অভিষেক পর্ব। দুপুর আড়াইটেয় সুদর্শন চক্র সামনে রেখে গড়ায় প্রথম রথ। এরপর বলরাম, সুভদ্রা এবং সবশেষে জগন্নাথদেব রথে আরোহণ করেন।
দু’জায়গাতেই দর্শন
নিম কাঠের তৈরি বিগ্রহ তিনটিকে নিয়ে যাওয়া হবে মাসির বাড়ি-পুরনো জগন্নাথ মন্দির, যা নতুন মন্দির থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে, জগন্নাথ ঘাটের কাছে অবস্থিত। এই যাত্রাপথেই শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আনন্দ। তবে পাথরের বিগ্রহগুলি নতুন মন্দিরেই অবস্থান করবে, ফলে আগামী সাত দিন দু’জায়গাতেই দর্শন করতে পারবেন ভক্তরা।
প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা
রথে উঠে প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থাও রয়েছে। থাকবে নানা রকম শুকনো ভোগ মিষ্টি, গজা, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি। তবে রথে রান্না করা খাবার দেওয়া হবে না। মাসির বাড়িতে পৌঁছেই থাকবে ৫৬ ভোগের এলাহি আয়োজন। দিঘায় এত বিপুল জনসমাগম সামলাতে কলকাতা পুলিশের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হয়েছে। রথযাত্রা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে শহরের প্রধান রাস্তার দুই ধারে ব্যারিকেড করা হয়েছে। প্রতিটি ব্যারিকেডেই রথের রশি ছোঁয়ানো থাকবে, যাতে সকল ভক্তই টান দিতে পারেন। যেসব জায়গায় বেশি ভিড় হবে, সেখানে রথ কিছুক্ষণের জন্য থামানো হবে।
দিঘার এই প্রথম রথযাত্রা নিছক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়—এটি হয়ে উঠেছে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আগামী দিনে শহরটির ধর্মীয় ও পর্যটন গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।