ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একসময় বর্ষা (Parenting Tips in Monsoon) মানেই ছিল খোলা মাঠে দৌড়ঝাঁপ, নর্দমার জলে মাছ ধরা, কিংবা কাগজের নৌকা ভাসিয়ে আনন্দে হুটোপাটি। কিন্তু সেই দিন এখন অতীত। বহুতলের ছোট্ট ঘরে, মোবাইল-টিভির গণ্ডিতে আটকে থাকা আজকের শিশুরা হারিয়ে ফেলছে প্রকৃতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা নির্ভেজাল আনন্দ। তাই শহুরে ব্যস্ততার মধ্যেও সন্তানকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেই পুরনো আনন্দ যদি আপনি চান এবং একটু সময় যদি দেন।
স্বতন্ত্র শিল্প (Parenting Tips in Monsoon)
বৃষ্টির দিনেও শিল্পচর্চা হতে পারে (Parenting Tips in Monsoon) রোমাঞ্চকর। পিজবোর্ডে বা মোটা কাগজে রঙ-কলমে কিছু আঁকতে বলুন সন্তানকে। তারপর সেটি রেখে দিন এমন জায়গায়, যেখানে বৃষ্টির ফোঁটা এসে লাগে। জল পড়লে আঁকা ছবির রং গলে তৈরি হবে নতুন ধরনের নকশা একটি স্বতন্ত্র শিল্প। এতে তার কল্পনাশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনি প্রকৃতির ছোঁয়াও মিলবে।
হাতে-কলমে বিজ্ঞান শিক্ষা (Parenting Tips in Monsoon)
বর্ষাকাল বীজ অঙ্কুরোদ্গমের (Parenting Tips in Monsoon) উপযুক্ত সময়। একটি কাচের পাত্রে ভিজে তুলো বা কাপড়ে ছোলা-মটর রাখুন। সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে দেখুন প্রতিদিন কী পরিবর্তন হচ্ছে। এটি লিখে রাখতে বলুন। অঙ্কুর গজানো থেকে চারা হওয়া পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়াটি তার শেখার অভিজ্ঞতাকে করবে বাস্তব ও প্রাণবন্ত।
কাদামাটির খেলা
যদি বাড়ির বারান্দা, ছাদ বা একফালি উঠোন থাকে, তাহলে সন্তানকে মাটির সঙ্গে সময় কাটাতে দিন। পুরনো বাসন দিয়ে রান্নাঘরের অভিনয় খেলায় উৎসাহ দিন। কাদা দিয়ে বানাক লুচি, মিষ্টি কিংবা খেলনা ফল। এতে তার সৃজনশীলতা যেমন বাড়বে, তেমন প্রকৃতির উপাদান সম্পর্কেও সচেতনতা গড়ে উঠবে।
নৌকা বানিয়ে ছোট্ট ‘বিজ্ঞান’ শেখানো
কাগজ, পাতা, বা বোর্ড দিয়ে বানানো নৌকা জলে ভাসানোর অভ্যাসও হারিয়ে যাচ্ছে। সন্তানকে নিয়ে একসঙ্গে বানিয়ে ফেলুন ছোট্ট নৌকা বা ভেলা। কোন জিনিস কেন ভাসে, সেটির পেছনে বিজ্ঞান কী বলে সে কথাও মজার ছলে বুঝিয়ে দিন। এটি হবে খেলতে খেলতেই শেখার পথ।

বৃষ্টির শব্দে সুরের খেলা
বৃষ্টির ছন্দও শেখার একটি মাধ্যম হতে পারে। প্লাস্টিক, টিন, মাটি বিভিন্ন পাত্রে জল পড়লে কেমন শব্দ হয়, তা শুনিয়ে দিন শিশুকে। সে নিজেই অনুভব করবে কোনটি বেশি জোরে, কোনটি নরম, কোনটির ছন্দ বেশি মজার। এইভাবে তার শ্রবণশক্তি ও পর্যবেক্ষণক্ষমতাও বাড়বে।
আরও পড়ুন: Traffic Jam in Kolkata: কলকাতায় টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তি, মেট্রো বিভ্রাটেই যানজট!
আজকের শহুরে শিশুরা প্রকৃতি থেকে দূরে। কিন্তু একটু চেষ্টায় সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে তাদের জীবনে ফের আনা যায় সেই পুরনো, নির্ভেজাল আনন্দ। বৃষ্টির দিনে হাতে ধরে শেখাতে পারেন প্রকৃতিকে ভালোবাসা, অনুভব করতে পারেন সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশবের ছোঁয়া।