ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শনি দেবকে হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে (Shani Vakri 2025) কর্ম ও ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। মানুষের কর্মফলের ভিত্তিতে শনি তাঁর আশীর্বাদ বা শাস্তি দেন বলেই বিশ্বাস। ২০২৫ সালের ১৩ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে শনির বক্রী অবস্থান, যা চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রায় ১৩৮ দিন উল্টো পথে চলবেন গ্রহরাজ শনি। এই সময়ের প্রভাব পড়তে চলেছে সমাজ, রাজনীতি, কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনে।
মার্চ মাসে মীন রাশিতে প্রবেশ (Shani Vakri 2025)
এই বছর শনি দেব কুম্ভ রাশি থেকে বেরিয়ে মার্চ মাসে (Shani Vakri 2025) মীন রাশিতে প্রবেশ করেছেন। সেখানে প্রায় আড়াই বছর থাকবেন তিনি। তবে জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় শনি বক্রী। শনি যখন বক্রী হন, তখন তা কিছু রাশির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হলেও, কিছু রাশির জন্য নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের ইঙ্গিত দেয়।
তুলা রাশি (Shani Vakri 2025)
বিশেষত তুলা রাশির জাতকদের জন্য এই সময়টি অত্যন্ত (Shani Vakri 2025) শুভ হতে পারে। বহুদিনের আটকে থাকা আইনি সমস্যা মিটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ থাকলে তা এই সময়ে নিষ্পত্তির পথে যেতে পারে। কর্মজীবীদের ক্ষেত্রে পদোন্নতির সম্ভাবনাও প্রবল। দাম্পত্য জীবনেও শনি বক্রী সৌভাগ্য আনতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ শনি বক্রী অবস্থানে থাকাকালীন কোনও ভুল সিদ্ধান্ত বা অন্যায়ের ফল ভোগ করতে হতে পারে।
শনি চালিশা পাঠ
এমন সময় শনির কৃপা পেতে শনিবার শনি চালিশা পাঠ করা, শনি মন্দিরে দান-ধ্যান করা এবং সদাচরণ বজায় রাখা বিশেষভাবে ফলদায়ী হতে পারে। মনে রাখতে হবে, শনি এমন একমাত্র গ্রহ যিনি সম্পূর্ণরূপে মানুষের কর্মফল অনুসারে বিচার করেন। ফলে ভালো কাজের পুরস্কার যেমন পাওয়া যায়, তেমন খারাপ কাজের জন্য শাস্তিও অনিবার্য।
আরও পড়ুন: Parenting Tips in Monsoon: বৃষ্টিভেজা দিনে সন্তানের জন্য ফিরিয়ে আনুন হারিয়ে যাওয়া শৈশবের আনন্দ!
যদিও এই জ্যোতিষ বিশ্লেষণ বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল, তবু শনি বক্রীর সময় সকলের উচিত নিজের আচরণ, চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির প্রতি সতর্ক থাকা। কারণ শনির দৃষ্টি ধৈর্য, পরিশ্রম এবং ন্যায়ের প্রতি স্থিত থাকে। শেষ কথা, এই গোচরকালীন সময়ে আত্মসমালোচনা, শৃঙ্খলা ও সততার সঙ্গে জীবনযাপন করলে শনির কৃপা পাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে যাঁরা অতীতে ভালো কাজ করে এসেছেন, তাঁদের জন্য এই সময়টা হতে পারে আশীর্বাদস্বরূপ। তবে যেকোনও জ্যোতিষীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অভিজ্ঞ পরামর্শদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করাই বাঞ্ছনীয়।