ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ ১৫ মাস অপেক্ষার পর অবশেষে ভারতের হাতে আসছে অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার(Apache attack helicopter)। সূত্রের খবর, চলতি মাসেই তিনটি অ্যাপাচে আসবে ভারতের হাতে। আমেরিকা থেকে এই হেলিকপ্টার ভারতে এলেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হবে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে। ভারতীয় সেনার এভিয়েশন কর্পসের যোধপুর ইউনিটের মাধ্যমেই কাজ করবে এই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলি।
সেনাবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি (Apache attack helicopter)
এই হেলিকপ্টার আসার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী যে বাড়তি বল পাবে সেকথা বলাই যায়(Apache attack helicopter)।১৫ মাস আগে অর্থাৎ ২০২৪ সালের মার্চ মাসে প্রথম অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন গঠন হয় যোধপুরে। কিন্তু আমেরিকা থেকে ভারতে এসে পৌঁছয়নি হেলিকপ্টারগুলি। ২০২০ সালে আমেরিকার সঙ্গে এই হেলিকপ্টার নিয়ে একটি চুক্তি করেছিল ভারত। সেখানে ৬০০ মিলিয়ন ডলার টাকার রফাও হয়েছিল। ২০২৪ সালের মে-জুন মাসেই ৬ টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার আসার কথা ছিল। তবে সেটি কোনও কারণে দেরি হয়।তবে ইন্ডিয়া টুডের খবর অনুসারে, চলতি মাসেই ভারতের হাতে আসতে চলেছে এই উন্নত যুদ্ধের হেলিকপ্টারটি। মার্কিন সেনার সঙ্গে যে কথা হয়েছে তেমনভাবেই ভারতের হাতে ৬ টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার আসবে।

সীমান্ত সুরক্ষা (Apache attack helicopter)
মনে করা হচ্ছে দেশের পশ্চিমভাগের সীমান্ত সুরক্ষার দিকে এই অ্যাপাচে হেলিকপ্টার বিরাট কার্যকরী ভূমিকা নেবে(Apache attack helicopter)। এই হেলিকপ্টার হাতে এলে সীমান্ত পারে ভারত আরও শক্তিশালী হবে বলেই সকলে মনে করছেন। ভারতের অস্ত্রের ঝুলিতে এটি একটি বিরাট দিক বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার।অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হল একটি শক্তিশালী অ্যাটাক হেলিকপ্টার, যা মূলত আমেরিকায় তৈরি। এটি একটি দ্বি-ইঞ্জিন বিশিষ্ট হেলিকপ্টার, যা ১৯৮৪ সাল থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই হেলিকপ্টারটি ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী এবং স্থল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ভারতীয় বিমান বাহিনীও এই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে এবং এটিকে ‘ট্যাঙ্ক ইন দ্য এয়ার’ বলা হয়।অপারেশন সিঁদুরের পর থেকে পাক সীমান্তের নিরাপত্তায় অনেক বেশি কড়াকড়ি করছে সেনা। তাই প্রথম ব্যাচের অ্যাপাচেগুলি পাঠানো হবে পাক সীমান্তে।
আরও পড়ুন-Zohran Mamdani: ‘আমি ভয় পাওয়ার পাত্র নই!’ ট্রাম্পের গ্রেফতারির হুমকি, কড়া জবাব মামদানির
অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার (Apache attack helicopter)
অ্যাপাচে হেলিকপ্টার, বিশেষ করে AH-64E মডেলটি, বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মাল্টি-রোল কমব্যাট হেলিকপ্টারগুলির মধ্যে একটি। এটি ভারী সাঁজোয়া যান, বাঙ্কার এবং অন্যান্য স্থল লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে সক্ষম(Apache attack helicopter)।বিশ্বে মোট ১৭টি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। একসঙ্গে একাধিক কাজ করতে পারে কপ্টারগুলো। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার। এরমধ্যে ১১টিতে রয়েছে শত্রু শিবিরে বিভীষিকা তৈরি করা লং বো ফায়ার কন্ট্রোল রাডার। রয়েছে হেলফায়ার (নরকের আগুন) মিসাইল। প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসে এর জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলোকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় অভেদ্য বর্মের জন্য ‘উড়ন্ত ট্যাঙ্ক’ হিসাবেও জানা যায় অ্যাপাচেকে।

আরও পড়ুন-JDU Office: ‘জেডিইউ অফিসে মোদীর ছবি!’ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ লালু-পুত্রের
অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টারের ক্ষমতা (Apache attack helicopter)
ভারতীয় সেনাবাহিনীও তাদের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই উন্নত কমব্যাট হেলিকপ্টারগুলি চেয়েছিল(Apache attack helicopter)। অ্যাপাচে হেলিকপ্টারে অত্যাধুনিক সেন্সর এবং অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে, যা এটিকে দিনের বেলা এবং রাতের বেলায় উভয় সময়েই কার্যকর করে তোলে। এরমধ্যে একটি রাডার সিস্টেমও রয়েছে যা লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে সহায়তা করে। অ্যাপাচে হেলিকপ্টার তার উন্নত প্রযুক্তির কারণে যুদ্ধের ময়দানে খুব কার্যকরী একটি হেলিকপ্টার। এটি শত্রুপক্ষের জন্য একটি বড় হুমকি।
