ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের বিখ্যাত কুপোলার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রয়েছেন হাস্যোজ্জ্বল, আত্মবিশ্বাসী এবং সুস্থ-সবল এক গগনযাত্রী(Shubhanshu Shukla)। তিনি আর কেউ নন, ভারতের গর্ব গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা।৪১ বছর পর মহাকাশে পাড়ি দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন ভারতীয় নভশ্চর শুভাংশু শুক্লা।বর্তমানে তিনি আইএসএস-এ ১৪ দিনের এক বিশেষ বৈজ্ঞানিক অভিযানে রয়েছেন।
মহাকাশ স্টেশনে শুভাংশু শুক্লা (Shubhanshu Shukla)
গত ২৬ জুন শুভাংশু শুক্লা পৌঁছন মহাকাশ স্টেশনে(Shubhanshu Shukla)।স্পেসএক্স-এর তৈরি ড্রাগনে চেপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন শুভাংশু-সহ চার মহাকাশচারী। তখন থেকেই শুভাংশু মার্কিন বেসরকারি সংস্থা অ্যাক্সিয়ম স্পেসের নেতৃত্বে শুরু করেছেন গবেষণামূলক নানা কার্যকলাপ। অ্যাক্সিয়ম জানিয়েছে, মিশনের ৯টি দিন অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। মহাকাশে তাঁর সঙ্গী ছিলেন অভিজ্ঞ কমান্ডার পেগি হুইটসন, ইউরোপিয়ান নভোচারী স্লাওস উজনানস্কি এবং হাঙ্গেরির টিবর কাপু।

আইকনিক কুপলায় ভারতীয় নভশ্চর (Shubhanshu Shukla)
এই অভিযানের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১৮ মিনিটের সরাসরি কথোপকথন (Shubhanshu Shukla)। প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, প্রথম মহাকাশ দর্শনে তাঁর অনুভূতি কী ছিল। জবাবে শুক্লা বলেন, ‘মহাকাশ থেকে কোনও সীমানা দেখা যায় না। পৃথিবীটা একটা অভিন্ন গ্রহের মতো দেখায়। আর ভারত? এক কথায় অসাধারণ।’ এরপরেই রবিবার প্রকাশ্যে এসেছে গগনযাত্রী শুভাংশুর নতুন ছবি। এবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের আইকনিক গম্বুজাকৃতির ‘কুপলা’ অংশতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘কুপলা’র একাধিক আকৃতির জানলা দিয়ে দেখা যাচ্ছে নীল মহাকাশ। আর শুভাংশুর মুখে একগাল হাসি। নাসা ও ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় নভশ্চর সুস্থ আছেন।
‘স্পেস টু আর্থ’ (Shubhanshu Shukla)
৩ ও ৪ জুলাই শুভাংশু শুক্লা সরাসরি মহাকাশ থেকে যুক্ত হন তিরুবনন্তপুরম, বেঙ্গালুরু এবং লখনউ-এর স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে(Shubhanshu Shukla)। যার মধ্যে ছিল তাঁর নিজের প্রাক্তন স্কুল সিটি মন্টেসরি স্কুলও। ৫০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী এই ‘স্পেস টু আর্থ’ লাইভ ইন্টারঅ্যাকশনে অংশ নেয়। যদিও এখনও পর্যন্ত ইসরো বা তার হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট সেন্টার কোনও ভিডিও প্রকাশ করেনি, যা নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই।এখন সারা দেশের ১৪০ কোটি মানুষ অপেক্ষা করছে সেই হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তগুলির জন্য। যেগুলোতে শুভাংশু শুক্লা এক হাতে ভবিষ্যতের গগনযাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেছেন, আর অন্য হাতে বিজ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন আকাশ পেরিয়ে।হয়তো একদিন, সেই ঐতিহাসিক লাইভ ভিডিও প্রকাশও পাবে আর মনে করাবে ১৯৮৪-তে ভারতের উইং কম্যান্ডার রাকেশ শর্মার বলা কথা, ‘সারে জাহাঁ সে অচ্ছা’।

আরও পড়ুন-Kangana Ranaut: ‘আমি মন্ত্রিসভার সদস্য নই!’ বন্যা বিধ্বস্ত মান্ডিতে গিয়ে বিতর্কে কঙ্গনা
স্পেস সেন্টারের ‘কুপলা’ কী? (Shubhanshu Shukla)
‘কুপলা’ হল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ছোট মডিউল(Shubhanshu Shukla)। মূলত মহাকাশচারীদের জন্য একটি পর্যবেক্ষণ এবং কাজের স্থান হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়। এখান থেকেই বাইরের দৃশ্য দেখার সুযোগ পান মহাকাশচারীরা। এছাড়া মহাকাশচারীদের স্পেসওয়াক, রোবোটিক কাজের কার্যকলাপ এবং অন্যান্য মহাকাশযানগুলির আগমন ও বহির্গমন পর্যবেক্ষণ করতেও এটি সাহায্য করে। ইতালিয়ান শব্দ থেকেই এটির নামকরণ- যার অর্থ গোলাকৃতি ডোম। স্পেস সেন্টারের কুপলাতে মোট সাতটি জানলা রয়েছে। সেখান থেকেই বাইরের দৃশ্য দেখা যায়।
