ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিহারে গোপাল খেমকা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের একজনকে শিল্পপতির শেষকৃত্যে (Gopal Khemka Death Case Update) পৌঁছানোর সময় আটক করা হয়েছিল।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় এসে ধরা পড়ল সন্দেহভাজন (Gopal Khemka Death Case Update)
পাটনা পুলিশ রবিবার গোপাল খেমকার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছে (Gopal Khemka Death Case Update)। ধৃতদের মধ্যে একজন, রোশন কুমার, খেমকার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিতে এসে ধরা পড়ে। রোশন পাটনার পু্নপুন এলাকার বাসিন্দা। ৬ জুলাই গুলবিঘাটে যখন খেমকার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলছিল, সেই সময় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় রোশনকে। তার পরই পুলিশ তাকে আটক করে।
জেলায় হানা, উদ্ধার মোবাইল ফোন (Gopal Khemka Death Case Update)
এই মামলার তদন্তে আরও অগ্রগতি করতে পাটনা পুলিশ একটি জেলায় হানা দিয়ে বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে (Gopal Khemka Death Case Update)। এই ফোনগুলো বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, এই মোবাইল ফোন থেকে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে।
তদন্তের আওতায় একাধিক ব্যক্তি
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোশন কুমারকে বর্তমানে জেরা করা হচ্ছে। খেমকা হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রে তার সম্ভাব্য ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় এক ডজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
কীভাবে খুন করা হয় খেমকাকে
৪ জুলাই রাত সাড়ে এগারোটার কিছু পরে, অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ গুলি করে হত্যা করে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গোপাল খেমকাকে। ঘটনাটি ঘটে তার গাড়ি থেকে নামার ঠিক মুহূর্তে, গান্ধী ময়দান এলাকার নিজের বাড়ির সামনে। পুলিশ মনে করছে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত খুন। শুধু বন্দুকবাজ নয়, আরও অন্তত দুই জন স্পটার এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাদের কাজ ছিল খেমকার গতিবিধি নজরে রাখা। তদন্ত অনুযায়ী, খেমকা যেই মুহূর্তে ব্যাংকিপুর ক্লাব থেকে বের হন, প্রথম স্পটার তখনই বন্দুকবাজকে খবর দেয়। দ্বিতীয় স্পটার গান্ধী ময়দানের বিস্কোম্যান টাওয়ারের কাছে ছিল। বন্দুকবাজ সম্ভবত আগেই খেমকার বাড়ির কাছে ওঁত পেতে ছিল এবং চূড়ান্ত সংকেত পাওয়ার পরেই হামলা চালায়।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ
এই ঘটনার তদন্তে পাটনা পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাংকিপুর ক্লাব, গান্ধী ময়দান, বুদ্ধা কলোনি এবং ইনকাম ট্যাক্স গোলাম্বর এলাকা। যদিও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও অফিসিয়াল বিবৃতি দেয়নি, তবে সূত্রের খবর, বন্দুকবাজ ও অন্যান্য মূল অভিযুক্তদের ধরতে একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Kangana Ranaut: ‘আমি মন্ত্রিসভার সদস্য নই!’ বন্যা বিধ্বস্ত মান্ডিতে গিয়ে বিতর্কে কঙ্গনা
ব্যবসায়ী মহলে চরম আতঙ্ক
গোপাল খেমকার মৃতদেহ ৬ জুলাই গুলবিঘাটে দাহ করা হয়। বহু স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন সেখানে। তাঁরা শেষ শ্রদ্ধা জানান খেমকাকে। এই হত্যাকাণ্ডের পর বিহারের ব্যবসায়ী মহলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁদের অনেকে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে বিহার সরকার রবিবার আশ্বাস দিয়েছে, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে সমস্ত অভিযোগ ও উদ্বেগ গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।