ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত তার সাপ্তাহিক কলাম ‘রোকঠোক’-এ রাজ ঠাকরের তীব্র সমালোচনা করেছেন (Raj Thackeray Taunted by Uddhav Followers)। তিনি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস) এর রাজনৈতিক দিকনির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
শিবসেনা (উদ্ধব গোষ্ঠী) সাংসদের ‘রোকঠোক’ কলামে তীব্র আক্রমণ (Raj Thackeray Taunted by Uddhav Followers)
উদ্ধব ঠাকরে ও রাজ ঠাকরে বহু বছর পর শনিবার একসঙ্গে মঞ্চে উঠলেন (Raj Thackeray Taunted by Uddhav Followers)। তার পরদিনই, শিবসেনা (ইউবিটি) সাংসদ সঞ্জয় রাউত নিজের সাপ্তাহিক কলাম ‘রোকঠোক’-এ রাজ ঠাকরেকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। রাউতের অভিযোগ, শিবসেনার জন্য সংকটপূর্ণ সময়ে বিজেপি ও একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে সখ্যতা রেখেছেন রাজ ঠাকরে।
“বিজেপি-শিন্ডে গোষ্ঠীর সঙ্গে চা খেতে ব্যস্ত ছিলেন রাজ” (Raj Thackeray Taunted by Uddhav Followers)
রাউত লিখেছেন (Raj Thackeray Taunted by Uddhav Followers), “রাজনীতির পথে উদ্ধব ও রাজ ঠাকরের পথ সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়েছে। অমিত শাহের কারণে বিভাজনের পর, শিবসেনা কংগ্রেস ও এনসিপি-র সঙ্গে মহা বিকাশ আগাড়ি-তে গিয়ে দাঁড়ায়। রাজ ঠাকরে তখন বিজেপি, শিন্ডে গোষ্ঠী ইত্যাদির সঙ্গে চা খাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। তিনি দিল্লিতে গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেন। কিন্তু তাতে মহারাষ্ট্রের কিছু লাভ হয়নি এবং এমএনএস-এর রাজনৈতিক গতিও এগোয়নি।” তিনি দাবি করেছেন, ঠাকরে পরিবারের দুই ভাইয়ের এই বিভাজন ছিল “দিল্লি ও এখানকার ব্যবসায়িক রাজনীতির স্বার্থে”, যার উদ্দেশ্য ছিল মারাঠি ভোট বিভক্ত করে তাদের রাজনৈতিক সংহতি দুর্বল করা।
ভোটার তালিকা নিয়েও অভিযোগ
রাউতের অভিযোগ, “বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় ঢুকিয়ে নির্বাচন জিতছে। এমএনএস-ও এতে পরাজিত হয়েছে।”
মারাঠি ভোটে ঐক্যের ডাক
সঞ্জয় রাউত লেখেন, “মহারাষ্ট্রের স্বার্থে মারাঠি ভোটের শতাংশ বাড়ানো দরকার। তবেই পুরসভা, জেলা পরিষদ ও বিধানসভা ভোটে ঐক্যবদ্ধ চ্যালেঞ্জ ছোড়া যাবে। একমাত্র তাহলেই মারাঠি মানুষ সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারবেন।” শেষে তিনি ‘খালি ঢোল বাজানো’র বিরুদ্ধেও তীব্র কটাক্ষ করেন। লেখেন, “নয়তো ঢোল বাজবে, গর্জন শোনা যাবে, শঙ্খনাদ হবে—এই উন্মাদনা যেন শুধু তাতেই শেষ না হয়!”
আরও পড়ুন: Mounted Gun System: প্রতিরক্ষা উৎপাদনেই ভারতের শক্তির উত্থান
১৮ বছর পর এক মঞ্চে ঠাকরে-ভাইয়েরা
শনিবার, ১৮ বছর বাদে একসঙ্গে একটি জনসমাবেশে হাজির হন রাজ ঠাকরে ও উদ্ধব ঠাকরে। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘আওয়াজ মারাঠিচা’। সেখানে মহারাষ্ট্র সরকার প্রাথমিক স্তরে হিন্দি ভাষাকে ঐচ্ছিক তৃতীয় ভাষা হিসেবে না রাখার সিদ্ধান্ত এবং তিন-ভাষা নীতির প্রত্যাহার উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে ঠাকরে-ভাইদের যুগ্ম উপস্থিতি ছিল বহু আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।