ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪ মিনিটে (Earthquake in Delhi) ভারতের রাজধানী দিল্লি তীব্র ভূমিকম্পের দাপটে কেঁপে উঠল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪, যা দিল্লি এবং এর আশপাশের এলাকাগুলোতে স্পষ্টভাবে অনুভূত হয়। কম্পনের তীব্রতায় ঘরবাড়ির সিলিং ফ্যান দুলতে শুরু করে এবং অনেক বাড়ির জিনিসপত্রও নড়তে থাকে। এই আকস্মিক ভূমিকম্পে বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন, বিশেষ করে যাঁরা অফিসে ছিলেন তারা কর্মস্থল ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যান।
দিল্লির পাশাপাশি কম্পন…(Earthquake in Delhi)
দিল্লির পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয় নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ফরিদাবাদ ও (Earthquake in Delhi) গুরুগ্রামে। হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায়ও কম্পনের দাপট অনুভূত হয়েছে। এমনকি উত্তরে মেরঠ ও শামলির মতো উত্তরপ্রদেশের এলাকাগুলো এবং পঞ্জাবেও কম্পনের ছাপ পড়েছে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে হরিয়ানার ঝাজ্জর জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে মাটির নিচে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘটেছে।
দু’মিনিটের মধ্যে দু’বার কম্পন (Earthquake in Delhi)
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঝাজ্জরে দু’মিনিটের মধ্যে দু’বার কম্পন (Earthquake in Delhi) অনুভূত হয়। প্রথম কম্পনটি ছিল সকাল ৯টা ৭ মিনিটে এবং দ্বিতীয় কম্পন ঘটে মাত্র তিন মিনিট পর, ৯টা ১০ মিনিটে। এই আকস্মিক কম্পনের কারণে এলাকাবাসী ব্যাপক আতঙ্কিত হন এবং বাড়িঘর ছেড়ে খোলা জায়গায় চলে আসেন। স্কুল, অফিস ও দোকানপাট সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি
আবহাওয়া ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৪.৪ মাত্রার এই ভূমিকম্প মধ্যমানের হলেও দ্রুত এবং আকস্মিক কম্পনের কারণে তা খুবই অস্বস্তিকর ছিল। তবে এ মুহূর্তে কোনো বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক দিক থেকেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পর্যবেক্ষণ জোরদার করা হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে কোনো ঝুঁকি কমানো যায়।

কম্পনের ঘটনা নতুন কিছু নয়
এমন ভূমিকম্প সাধারণত মাটির নিচে ভূপৃষ্ঠের টেকটনিক প্লেটের চলাচলের কারণে ঘটে থাকে। ঝাজ্জর এলাকা ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলের কাছাকাছি হওয়ায় এখানে কম্পনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে এর তীব্রতা ও বিস্তৃত প্রভাবকে নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং বিশেষজ্ঞরা সতর্ক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: Weather Updates: আকাশ এখনও মেঘলা, দক্ষিণবঙ্গে সপ্তাহজুড়ে চলবে বৃষ্টি!
বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস!
রাজধানী দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকায় এই কম্পনের ফলে মানুষ ভীত ও অস্থির হয়ে পড়েছেন। অনেকেই পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিরাপত্তার খবর নিচ্ছেন। প্রশাসন ও উদ্ধারকারী দল পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং জনসাধারণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সম্প্রতি বেশ কিছু বছর ধরে উত্তর ভারতে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্পের এই ধরনের কম্পন অনুভূত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের কম্পন ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস হতে পারে, তাই নাগরিকদের সচেতন ও প্রস্তুত থাকা জরুরি।