ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইউক্রেনে রাশিয়ার লাগাতার বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ঠেকাতে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ব্রিটেন (Thales Air Defence Missiles)। ইউক্রেন সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে ফরাসি মালিকানাধীন সংস্থা থ্যালেস নির্মিত ৫০০০টি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
এই সামরিক সহায়তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টার্মার (Keir Starmer)।শুক্রবার তিনি বলেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ইউক্রেনকে রক্ষার লক্ষ্যে চার দফা পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়িত করছি। এই পদক্ষেপ সেই বৃহত্তর কৌশলের অংশ।”
ইউরোপের যৌথ উদ্যোগ (Thales Air Defence Missiles)
ইউক্রেনকে সমর্থন করা নিয়ে এখন ইউরোপের মধ্যে প্রবল ঐক্য দেখা যাচ্ছে(Thales Air Defence Missiles)। বিশেষ করে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির ২৮ ফেব্রুয়ারির আলোচিত বৈঠকটি ভেস্তে যাওয়ার পর থেকেই আমেরিকার তরফে সামরিক সাহায্য বন্ধের হুমকি আসে। সেই পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনের পাশে শক্ত অবস্থান নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের একাধিক সদস্য রাষ্ট্র, যার অগ্রভাগে রয়েছে ব্রিটেন।
থ্যালেস: শক্তিশালী প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির ভরসা (Thales Air Defence Missiles)
থ্যালেস ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা(Thales Air Defence Missiles)। এর প্রধান কারখানা আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে অবস্থিত। এখান থেকেই ইউক্রেনকে আগে সরবরাহ করা হয়েছিল হালকা মাল্টিরোল ক্ষেপণাস্ত্র (LMM), যা ন্যূনতম অবকাঠামো থেকেও উচ্চ-গতির শত্রু ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম।
ব্রিটেন এবার ইউক্রেনকে যে ৫০০০টি থ্যালেস প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে, সেগুলি মূলত কাঁধে বহনযোগ্য, উচ্চ গতিতে সক্রিয় হওয়া সাশ্রয়ী আকাশ প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রযুক্তি ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন সেনাদের কার্যক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াবে।

আরও পড়ুন: HC On SSC Recruitment : নম্বরের বিভাজন কার সিদ্ধান্তে হয়েছিল? এসএসসি-র থেকে জানতে চাইল হাইকোর্ট
ভবিষ্যতের বার্তা (Thales Air Defence Missiles)
রাশিয়ার সঙ্গে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পশ্চিমি দেশগুলির সমর্থনই ইউক্রেনের অস্তিত্ব রক্ষা করছে(Thales Air Defence Missiles)। মার্কিন সহায়তা অনিশ্চিত হলেও, ইউরোপের এই সক্রিয় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতের ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলেই মত কূটনৈতিক মহলের।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে কিয়েভকে শুধু প্রতিরক্ষা সরঞ্জামই নয়, যুদ্ধক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক সমর্থনও দিচ্ছে ব্রিটেন ও ইউরোপ। থ্যালেস সরবরাহের মাধ্যমে সেই প্রতিশ্রুতিই আরও একবার জোরালোভাবে তুলে ধরল ব্রিটিশ সরকার।