Last Updated on [modified_date_only] by Sumana Bera
চন্দন বারিক, পূর্ব মেদিনীপুর: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য। সেই আবহেও একের পর এক নারী নির্যাতন, মেয়েদের উপর নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর। স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ এবং জোর করে কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধ।
জানা গেছে, পটাশপুর থানার ভুবন মঙ্গলপুর এলাকায় বাসিন্দা ওই মহিলা। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তাঁর স্বামী। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গ্রামেরই এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় ওই গৃহবধূকে। তুলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়ে যায়, ওই গৃহবধূ যাতে কাউকে কিছু না বলতে পারেন, তার জন্য ধর্ষণের পর গৃহবধূর মুখে কীটনাশক ঢেলে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কীটনাশক খাওয়া অবস্থাতেই ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন গ্রামবাসীরা। তমলুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। হাসপাতালে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/two-people-arrested-by-police-due-to-alligation-of-banshdroni-accident-case/
বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকায় জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে বের করে এনে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পটাশপুর থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে এলাকায় আটকে রাখা হয়। অভিযুক্তকে গণপিটুনি স্থানীয়দের. পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।