Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হাওড়া ব্রিজ শুধু একটি (Howrah Bridge) ব্রিজ নয়, বরং কলকাতা ও হাওড়ার সংযোগস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা এক জীবন্ত ইতিহাস। ১৯৪৩ সালে প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ব্রিজ আজও বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ক্যান্টিলিভার সেতু হিসেবে পরিচিত। দৈর্ঘ্যের নিরিখে এটি পৃথিবীর ষষ্ঠ বৃহত্তম ক্যান্টিলিভার ব্রিজ। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ, যানবাহন ও পণ্য পরিবহনের সাক্ষী এই ব্রিজ আজও অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য (Howrah Bridge)
এই ব্রিজের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হল এর তাপীয় (Howrah Bridge) সম্প্রসারণ। দিনে সূর্যের তাপে এর ধাতব কাঠামো প্রায় ৪.৮ ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত হয়। আবার প্রবল হাওয়ার তোড়ে ব্রিজ সামান্য হলেও বেঁকে যায়—যা তার নমনীয়তা ও প্রকৌশল দক্ষতার পরিচায়ক। এই সমস্ত তথ্য হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

ভিত্তিহীন এবং গুজব! (Howrah Bridge)
তবে হাওড়া ব্রিজকে ঘিরে কিছু ভুল তথ্যও দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত (Howrah Bridge) রয়েছে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, প্রতিদিন দুপুর ১২টা ও রাত ১২টার সময় ব্রিজটি কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়, কারণ এই সময় নাকি এটি ভেঙে পড়তে পারে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনও প্রমাণ নেই। এই ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন এবং গুজব বলেই প্রমাণিত হয়েছে।
ব্রিজের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা (Howrah Bridge)
আসলে, প্রতি সপ্তাহে একদিন শনিবার রাত ১১:৩০ থেকে রবিবার (Howrah Bridge) ভোর ৪:৩০ পর্যন্ত ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এই সময় ইঞ্জিনিয়াররা ব্রিজের গঠন, সংযুক্তি, ধাতব অংশ ও ভারবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করেন। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় ব্রিজের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা।
পরিষ্কার রাখার কাজেও নিয়মিত পরিশ্রম
রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুধু স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়। প্রতি ৬ থেকে ৭ বছর অন্তর ব্রিজের রং করা হয়, যাতে তার ধাতব কাঠামো জং থেকে সুরক্ষিত থাকে। এছাড়া, প্রতিদিনের ব্যবহারে ব্রিজের উপর পাখির মল ও অন্যান্য ময়লা জমে, যা পরিষ্কার রাখার কাজেও নিয়মিত পরিশ্রম করেন কর্মীরা। এই সব কাজের দায়িত্বে রয়েছে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট।
আরও পড়ুন: Nabanna on WB Flood Situation: বন্যা মোকাবেলায় তৎপর রাজ্য, দায়িত্ব ভাগ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
শহরের নয়নের মণি
আজ, ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হাওড়া ব্রিজ এক শহরের নয়নের মণি। এটি শুধুই এক স্থাপত্য নয়, বরং কলকাতার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও নাগরিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা এক স্মারক। প্রযুক্তির উৎকর্ষ, সময়োপযোগী রক্ষণাবেক্ষণ ও জনগণের সহযোগিতার ফলে এই সেতু আগামী বহু বছর ধরে তার ঐতিহ্য বহন করে চলবে এমনটাই আশাবাদী শহরবাসী।