ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনি (Fire on Flight) থেকে হোবার্টগামী একটি যাত্রীবাহী বিমানে মাঝ আকাশে আচমকাই আগুন লেগে যায়। এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সূত্রপাত হয় যাত্রীদের মালপত্রের মধ্যে রাখা একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকে। তবে দ্রুত বিমানকর্মীদের সক্রিয়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বিমানের নিরাপদ অবতরণ নিশ্চিত হয়।
সিডনি থেকে হোবার্টের উদ্দেশ্যে যাত্রা (Fire on Flight)
ভার্জিন অস্ট্রেলিয়ার ‘ভিএ১৫২৮’ ফ্লাইটটি সিডনি থেকে হোবার্টের উদ্দেশ্যে (Fire on Flight) যাত্রা করছিল। অবতরণের কিছুক্ষণ আগে হঠাৎ করেই ওভারহেড লকার থেকে ধোঁয়া ও আগুন বের হতে দেখা যায়। বিমানকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন এবং ওই ব্যাগটি দ্রুত সরিয়ে ফেলেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে দ্রুততম সময়ে বিমানটি নিরাপদে নামানো হয়।
কেবিন ক্রুদের ধন্যবাদ (Fire on Flight)
এ ঘটনায় যেকোনও হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও, এক যাত্রীর (Fire on Flight) শ্বাসকষ্ট হয় যা প্যারামেডিকদের দ্রুত চিকিৎসায় সামাল দেওয়া হয়। হোবার্ট বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সমস্ত যাত্রী নিরাপদে বিমানের বাইরে আনা হয়েছে এবং সকলে বর্তমানে সুস্থ আছেন।ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তারা সর্বদা যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এই দুর্ঘটনার সময় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তারা কেবিন ক্রুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এছাড়া, জরুরি পরিষেবা দলকেও ধন্যবাদ জানানো হয়েছে, যারা বিমান অবতরণের পর দ্রুত সকল যাত্রীকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে নেয়।
আগুন লাগার প্রকৃত কারণ (Fire on Flight)
এই ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ান ট্রান্সপোর্ট সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি) এবং সিভিল অ্যাভিয়েশন (Fire on Flight) সেফটি অথরিটি (সিএএসএ) যৌথভাবে তদন্ত শুরু করেছে। তারা আগুন লাগার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করছে। যদি সত্যিই পাওয়ার ব্যাঙ্ক থেকে আগুন লেগে থাকে, তবে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে লিথিয়াম ব্যাটারি ব্যবহারের নীতিমালা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: দক্ষিণবঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব, আবার ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা!
এই ঘটনা আবারও মনে করিয়ে দিয়েছে, উড়োজাহাজে লিথিয়াম ব্যাটারি জাতীয় সামগ্রী নিয়ে আসার সময় কতটা সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ছোট্ট একটি ডিভাইস থেকেও বড় ধরনের বিপদ হতে পারে যদি সেগুলো সঠিকভাবে ব্যবহৃত না হয় বা সুরক্ষিত না রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে বিমান সংস্থাগুলোকে এই ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে কড়া নির্দেশনা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হবে। যাত্রীদেরও সচেতন থাকতে হবে যাতে তারা অনভিজ্ঞভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন না করে।