তন্ময় খাঁ, আরামবাগ: আরামবাগের খামারবেড়ের ভট্টাচার্য পরিবার। প্রায় ৫০০ বছর আগে ভট্টাচার্যদের পূর্বপুরুষ গৌরহরি ভট্টাচার্য এখানে বসতি স্থাপন করেন। মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সভায় কাজ করতেন তিনি। হটাৎই একদিন মায়ের সপ্নাদেশ পান গৌরহরি ভট্টাচার্য। সেই কথা শুনেই আরামবাগের খামারবেড় গ্রামে ৩০ একর জায়গা দান করেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। সেই জায়গায় চতুর্ভূজা দেবীর আরাধনা শুরু করেন গৌরহরি ভট্টাচার্য।
আজও পুরানো রীতি মেনে এখানে অষ্টমী-নবমীতে হয় ছাগ বলি। এখানের মায়ের পূজায় নিবেদন করা হয় মহাপ্রসাদ। মাছ, মাংস দিয়ে ভোগ উৎসর্গ করা হয় দেবীকে। ভট্টাচার্য পরিবারের মা আমিষভোজী। বাড়ির মেয়ের মতোই যত্ন করা হয় মা দুর্গাকে। কথিত আছে এই পূজার কয়েকদিনে কেউ যদি নাকক্ষত দিয়ে মায়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে তার সাতখুন মাফ হয়ে যায়। তাই পরিবারের যে যেখানে থাকে সকলে এই পুজোয় উপস্থিত থেকে মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়।
এছাড়াও এলাকার বহু মানুষের উপস্থিতি দেখা যায় ক্ষমা চাইতে। মায়ের পূজা হয় কালি রূপে। পঞ্চমুন্ডির আসনের উপর বসে পূজিত হন মা। মায়ের চার হাতে থাকে ত্রিশুল, চক্র, শঙ্খ ও সাপ। দশমীতে মাকে যেখানে বিসর্জন করা হয় অন্য কোন দেবদেবীকে এখানে বিসর্জন করা হয় না।