ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিয়ের ১৮ মাসের মধ্যেই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ার পর মুম্বাইয়ে (SC on alimony case) একটি বাড়ি এবং ভরণপোষণ হিসেবে ১২ কোটি টাকা দাবি করার পর প্রধান বিচারপতির এই মন্তব্য আসে।
শিক্ষিত নারীরা যেন নিজের উপার্জনে জীবনধারণ করেন, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির (SC on alimony case)
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এক মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই বলেন, শিক্ষিত নারীরা যেন নিজের উপার্জনে জীবন চালান, স্বামীর কাছ থেকে অস্থায়ী ভরণপোষণের দাবি করা তাদের উচিত নয়। একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় শুনানি চলাকালীন এক নারী ভরণপোষণ হিসেবে মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাট এবং ১২ কোটি টাকা দাবি করেন (SC on alimony case)। সেই প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাই তাকে বলেন, “আপ ইতনি পড়ি-লিখি হ্যায়, আপকো খুদকো মাঙনা নেহি চাহিয়ে, আপকো খুদ কামাকে খানা চাহিয়ে।” অর্থাৎ, “আপনি এত শিক্ষিত, নিজের উপার্জনে চলার কথা, কারও কাছে চাওয়ার দরকার নেই।”
মাত্র ১৮ মাসের দাম্পত্য, তারপর কোটি টাকার দাবি (SC on alimony case)
এই মামলায় মহিলা দাবি করেন, তাঁর স্বামী অত্যন্ত ধনী (SC on alimony case)। তাঁদের বিয়ের বয়স মাত্র ১৮ মাস। বিচ্ছেদের পরে তিনি ভরণপোষণ বাবদ একটি বাড়ি এবং ১২ কোটি টাকা দাবি করেন। মহিলার দাবি, তাঁর স্বামী বিবাহ বাতিলের আবেদন করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্কিজোফ্রেনিয়ার অভিযোগ এনেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “আপনি একজন আইটি কর্মী, এমবিএ করেছেন। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ—যেকোনও জায়গায় আপনার চাহিদা রয়েছে। তাহলে আপনি কেন কাজ করছেন না?” তিনি আরও বলেন, “আপনার বিয়ে তো হয়েছে মাত্র ১৮ মাস। এখন আপনি বিএমডব্লিউ-ও চাইছেন?”
আরও পড়ুন: SIR in Bihar: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনে উত্তাল সংসদ! নির্বাচন কমিশনের জোরালো সওয়াল
“চাকরি করার ক্ষমতা থাকলে ভরণপোষণের দরকার নেই”
প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, “আপনি যদি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে চাকরি না করেন, তাহলে হয় আপনি একেবারে বাধাবিহীন একটি ফ্ল্যাট পান, নয়তো কিছুই না। শিক্ষিত হয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বসে থাকা ভরণপোষণের ভিত্তি হতে পারে না।”
আগেও একই পর্যবেক্ষণ—“আইন অলসতা উৎসাহিত করে না”
চলতি বছরের মার্চ মাসে দিল্লি হাই কোর্ট একই ধরনের এক মামলায় জানিয়েছিল, আইনের উদ্দেশ্য অলসতা উৎসাহিত করা নয়। বিচারপতি চন্দ্র ধরি সিং ১৯ মার্চ এক রায়ে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৫ ধারা (স্ত্রী, সন্তান ও পিতামাতার ভরণপোষণ সংক্রান্ত আদেশ) স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সমতা রক্ষা এবং তাদের রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তৈরি হলেও, তা অলসতা মেনে নেয় না।
আরও পড়ুন: Anil Ambani Raided: আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ! দিল্লি-মুম্বইয়ে আম্বানির সংস্থায় ইডির অভিযান
আলাদা একটি মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, “একজন শিক্ষিত, অভিজ্ঞ স্ত্রী যদি শুধুমাত্র ভরণপোষণের আশায় নিজের কর্মক্ষমতা ব্যবহার না করেন, তাহলে সেটি আইনে মেনে নেওয়া যায় না। এই মামলায় আদালত দেখতে পাচ্ছে, আবেদনকারীর উপার্জনের ক্ষমতা রয়েছে এবং তিনি নিজের শিক্ষার সদ্ব্যবহার করতে পারেন। তাই এই মামলায় অস্থায়ী ভরণপোষণ দেওয়া হচ্ছে না।”