ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগে দেশের রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।জগদীপ ধনখড় অবশ্য ইস্তফার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন শারীরিক অসুস্থতা। কিন্তু তা আদৌ ‘আসল’ কারণ কিনা তা নিয়ে চলছে জল্পনা। এই আবহে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া(Vice Presidential Election)।তবে এই ক্ষেত্রে আর আগের ভুল করতে চাইছেন না বিরোধী দলের নেতারা। ইন্ডিয়া জোট চাইছে, ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী ঠিক করতে।তাই কোনও রকম তাড়াহুড়োও করতে চাইছেন না ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
বিরোধী শিবিরে প্রস্তুতি (Vice Presidential Election)
জগদীপ ধনখড়ের আচমকা পদত্যাগ করার পরেই দেশে দ্রুত নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন(Vice Presidential Election)। তারপর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে, কে বসবেন দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে। এই আবহে বুধবার নির্বাচন কমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংবিধানের ৩২৪ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে তারা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এই নির্বাচন পরিচালিত হবে ১৯৫২ সালের ‘প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আইন’ এবং ১৯৭৪ সালের সংশ্লিষ্ট বিধিমালার ভিত্তিতে।নির্বাচনের দিনক্ষণ পরে ঘোষণা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।তারপর থেকেই এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরও। এই ক্ষেত্রে কোনও রকম তাড়াহুড়ো এবং আগের মতো ভুল করতে চাইছেন না বিরোধী দলের নেতারা।

ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী (Vice Presidential Election)
সূত্রের খবর, বিরোধী দলগুলি চাইছে শাসক বিজেপি তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করুক(Vice Presidential Election)। তারপরেই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁদের প্রার্থীর নাম ঠিক করবেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।জানা গিয়েছে, বিরোধী দলের নেতারা চাইছেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে উত্তেজনা থাকুক। এই জন্য ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী দেবেন তাঁরা।বিরোধী দলগুলি এই নির্বাচনে জয়ী হোক বা পরাজিত, এর মাধ্যমে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বার্তা পাঠানো যাবে বলে মনে করছে তারা। সর্বসম্মত প্রার্থী ঠিক করতে শীঘ্রই বৈঠকে বসতে চলেছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা।
কংগ্রেস সভাপতির ব্যাখ্যা (Vice Presidential Election)
গত বুধবারই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছিলেন যে ইন্ডিয়া জোট আসন্ন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে(Vice Presidential Election)।তিনি বলেন, ‘আমরা ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির মধ্যে একটি বৈঠক করব এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কী করতে হবে সে বিষয়ে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব।’উল্লেখ্য, লোকসভায় ইন্ডিয়া জোটের ২৩৪ জন এবং রাজ্যসভায় ৭৮ জন সাংসদ আছেন।

আরও পড়ুন-Thailand-Cambodia Conflict: থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতের কেন্দ্রে ‘শিবমন্দির’
কী চাইছে বিজেপি? (Vice Presidential Election)
প্রথম দিকে জল্পনা ছিল, এনডিএ-র কোনও বর্ষীয়ান শরিক নেতা এই পদের দায়িত্ব পেতে পারেন(Vice Presidential Election)। গেরুয়া শিবির সূত্র বলছে, কোনও শরিকদলের জন্য উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। সংসদের দুই কক্ষেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র যথেষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। ফলে নিজেদের পছন্দের কাউকে উপরাষ্ট্রপতির কুর্সিতে বসাতে পদ্ম শিবিরের কোনও সমস্যা হবে না। মনে করা হচ্ছে সেক্ষেত্রে বিজেপির কোন বর্ষীয়ান নেতাকে সেই পদে বসাতে পারে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতির মতো গুরুদায়িত্বে এমন কাউকে বসানো হবে, যিনি সরাসরি বিজেপির মূল ভাবধারার সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির আস্থাভাজন এবং ঘনিষ্ঠ নেতার কাঁধের উপর দায়িত্ব রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
