ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। ২৫ জুলাই ২০২৫-এ তিনি ৪,০৭৮ দিন পূর্ণ করে একটানা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকার মেয়াদে ইন্দিরা গান্ধীর রেকর্ড ভেঙে দেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক দীর্ঘমেয়াদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৬ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৭ সালের মার্চ পর্যন্ত টানা ৪,০৭৭ দিন ক্ষমতায় ছিলেন।
মোদীর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রায় রেকর্ড (PM Modi)
মোদীর এই রেকর্ড তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রার এক নতুন দিগন্ত(PM Modi)। ২০০১ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি টানা ২৪ বছর ধরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনা করেছেন। এটি ভারতের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব একটি সাফল্য। বর্তমানে যুক্তরাজ্য এবং মালদ্বীপ সফরে থাকা নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বহুমুখী সাফল্যে সমৃদ্ধ। স্বাধীনতা-উত্তর প্রজন্মের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর উত্থান ভারতের রাজনীতিতে এক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। তিনি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী অ-কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী, এবং একমাত্র অ-কংগ্রেস নেতা যিনি লোকসভায় নিজের দলকে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দিয়ে অন্তত দুটি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করেছেন(PM Modi)।
ইন্দিরা গান্ধীর পর প্রথম স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ (PM Modi)
২০১৪ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয় এনে দেওয়া মোদী(Narendra Modi) ২০১৯ এবং ২০২৪ সালেও দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন(PM Modi)। ইন্দিরা গান্ধীর পর তিনিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি পুনর্নির্বাচিত হয়ে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছেন। তাছাড়া তিনিই একমাত্র অ-কংগ্রেস নেতা যিনি তাঁর দলকে টানা তিনবার জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী করেছেন। এর আগে এই কৃতিত্ব কেবলমাত্র জওহরলাল নেহেরুর দখলে ছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ক্ষেত্রে মোদীর রেকর্ড বিস্ময়কর। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনবার এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার — মোট ছয়টি বড় নির্বাচনে তিনি তাঁর দলকে জয় এনে দিয়েছেন।

গুজরাটে টানা সাফল্যের পর জাতীয় রাজনীতিতে ছক্কা (PM Modi)
গুজরাটে টানা সাফল্যের পর তিনি জাতীয় রাজনীতিতে উঠে এসে ভারতের অর্থনৈতিক সংস্কার, ডিজিটাল বিপ্লব এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন দিশা দেখিয়েছেন(PM Modi)। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বকে বিশেষজ্ঞরা ভারতের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক রূপান্তরের চালিকাশক্তি বলে মনে করেন। তাঁর নীতি ও উদ্যোগ যেমন ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ এবং সাম্প্রতিক বৈশ্বিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের উদ্যোগ — সব মিলিয়ে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। মোদীর দীর্ঘ মেয়াদ দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে ধরা হচ্ছে।

ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত (PM Modi)
অ-কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এত দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা ভারতের বহুদলীয় গণতন্ত্রে এক বিরল দৃষ্টান্ত(PM Modi)। ২০২৪ সালে আবারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর মোদীর সামনে চ্যালেঞ্জ হলো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও শক্তিশালী করা, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়া এবং বৈশ্বিক মঞ্চে ভারতের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করা। নরেন্দ্র মোদীর এই অর্জন শুধুমাত্র একটি ব্যক্তিগত রেকর্ড নয়, বরং ভারতীয় রাজনীতির এক নতুন যুগের ইঙ্গিত। তাঁর নেতৃত্বে ভারত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন পরিচিতি পেয়েছে, এবং দেশের অভ্যন্তরেও তিনি স্থায়ী উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণের জন্য এক ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।