ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশের সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর। এবার বয়স্ক মা বাবাকে দেখভালের জন্য ৩০ দিনের ছুটি নিতে পারবেন সরকারি কর্মীরা(Central Government Employees)। সংসদের বাদল অধিবেশনে রাজ্যসভায় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং। প্রতিবছর এই ছুটি তারা নিতে পারবেন। কত দিন এই ছুটি পাবেন, নিয়ম কানুন কি থাকছে, কিভাবে আবেদন করবেন, এই ছুটি কোন খাতে ধরা হবে, বিস্তারিত জেনে নিন।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ছুটি (Central Government Employees)
রাজ্যসভায় প্রশ্ন করা হয় যে, বয়স্ক মা-বাবার দেখভালের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের কোনও ছুটি রয়েছে কি না? এরপর সেই প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান, ‘কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত কারণে বছরে ৩০টি ছুটি নেওয়ার অনুমোদন রয়েছে(Central Government Employees)। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখাশোনার জন্যও ওই ছুটি নিতে পারেন তাঁরা।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ‘১৯৭২ সালের সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিস নীতি অনুযায়ী, বছরে ৩০ দিন আর্নড লিভ, ২০ দিন হাফ পে লিভ, আট দিন ক্যাসুয়াল লিভ, দু’দিন রেস্ট্রিক্টেড ছুটি নিতে পারবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এছাড়াও ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নিতে পারেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী সেটা বৃদ্ধ বাবা-মায়ের পরিচর্যার জন্যও নিতে পারেন।’ জানা গিয়েছে, ১৯৭২ সালের ১ জুন থেকে এই ছুটির নীতি কার্যকর করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সরকারি কর্মীদের ছুটির নীতি (Central Government Employees)
১৯৭২ সালের দ্য সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসেস রুলের আওতায় বিভিন্ন ছুটি আসে(Central Government Employees)। এই নিয়মের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা আর্নড লিভ, হাফ ডে লিভ, কমিউটেড লিভ, লিভ নট ডিউ, এক্সট্রাঅর্ডিনারি লিভ, মেটারনিটি লিভ, প্যাটারনিটি লিভ, চাইল্ড কেয়ার লিভ, স্টাডি লিভ, স্পেশাল ডিসাবিলিটি লিভ, সি-মেন সিক লিভ, হসপিটাল লিভ, ডিপার্টমেন্টাল লিভ পান। এক বছরে দুই ভাগে এই ছুটিগুলি ক্রেডিট হয়।তবে সকল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বছরে এই নির্দিষ্ট দিন ছুটি পেলেও রেলকর্মী, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস যেমন আইএএস, আইপিএস, আইএফএস-এর জন্য ভিন্ন নিয়ম রয়েছে।তাদের নিজস্ব লিভ রুলস অনুযায়ী ছুটি মঞ্জুর করা হয়।এই নীতি সরকারি কর্মীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দায়িত্ব পালনে সহায়তা করে। বৃদ্ধ পিতামাতার দেখাশোনা করা এখন অনেক কর্মীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য বজায় (Central Government Employees)
বর্তমান সমাজে যেখানে একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে গিয়ে পারমাণবিক পরিবারে রূপ নিচ্ছে, সেখানে কর্মজীবী সন্তানদের পক্ষে বয়স্ক মা-বাবার দেখভাল অনেক সময়েই কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। বিশেষ করে গুরুতর অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি করানো, ডাক্তার দেখানো বা ঘরে পরিচর্যা করার জন্য প্রয়োজন ছুটির(Central Government Employees)। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবিক অর্থেই একটি সমাজসচেতন নীতিগত পদক্ষেপ। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কর্মীদের কাছে শুধুমাত্র ছুটির সুযোগ নয়, বরং একটি মানবিক বার্তা—’পরিবার আগে।’

আরও পড়ুন-Palestine State: বেপরোয়া-লজ্জাজনক! প্যালেস্টাইনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি ফ্রান্সের, ক্ষোভ
সরকারি চাকরির সুযোগ (Central Government Employees)
সরকারি চাকরি প্রার্থীদের জন্য এটি হতে পারে একটি বাড়তি প্রলোভন(Central Government Employees)। কাজের নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেওয়ার সুযোগও এখন সুনিশ্চিত। এই ধরনের সুবিধা কর্মচারীদের কর্মস্পৃহা বাড়াতে ও ওয়ার্ক-লাইফ ব্যালান্স বজায় রাখতে সহায়ক।এখন আর অফিসের কাজের চাপে অসুস্থ বাবা-মায়ের শুশ্রূষা থেকে পিছিয়ে থাকতে হবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এক সাংবাদিক, মানবিক ও নীতিনির্ধারক সিদ্ধান্ত। এই নীতি রাজ্য সরকারগুলোকেও অনুপ্রাণিত করতে পারে একই পথে হাঁটার জন্য।
