ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আমেরিকার কুখ্যাত যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইন কীভাবে অল্পবয়সি মেয়েদের জন্য ফাঁদ পাততেন, সে বিষয়ে নতুন তথ্য সামনে এনেছেন এক ভুক্তভোগী(Jeffrey Epstein)। এনডিটিভি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওই তরুণী জানান, এপস্টাইনের প্রাক্তন প্রেমিকা এবং সহযোগী গিজলাইন ম্যাক্সওয়েলই শুরুতে তাঁর বিশ্বাস অর্জনের দায়িত্ব নিতেন। এপস্টাইন নিজে সামনে আসতেন শেষ পর্যায়ে, যখন যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটত।
ভুক্তভোগীর কথায়, তিনি ২২ বছর বয়সে এক চাকরির সাক্ষাৎকারের সূত্রে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে দেখা করেন।
“ম্যাক্সওয়েল তখন ভদ্র, আত্মবিশ্বাসী এবং দয়ালু মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল, উনি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সহায়ক হবেন।”
ম্যাক্সওয়েল তাঁকে নিজের বাড়িতেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তরুণীর কথায়, “ঘরের দেওয়ালজুড়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁর ছবি ছিল। একাধিক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছবি দেখে বুঝেছিলাম তিনি এক শক্তিশালী মহিলা।”এই বিশ্বাসের পরেই দ্বিতীয় সাক্ষাৎকারের নামে ম্যাক্সওয়েল তাঁকে এপস্টাইনের কাছে নিয়ে যান, যেখানে তিনি যৌন হেনস্থার শিকার হন বলে অভিযোগ।
এপস্টাইন ও প্রভাবশালী মহল (Jeffrey Epstein)
এপস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন পাচার ও নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর তিনি ২০১৯ সালে জেলে আত্মঘাতী হন (Jeffrey Epstein)। তাঁর সহযোগী ম্যাক্সওয়েলও শিশু পাচার এবং যৌন অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এপস্টাইনের সঙ্গে বহু প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করা হয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald J. Trump) নামও সেই তালিকায় রয়েছে, যদিও তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগীর দাবি,
“এপস্টাইনের ফাইল প্রকাশ্যে আনা উচিত। এতে সেই সমস্ত প্রভাবশালীর নাম প্রকাশ পাবে যারা এই অপরাধের শৃঙ্খল চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন।”
ম্যাক্সওয়েলের জেরা ও টড ব্ল্যানস (Jeffrey Epstein)
ম্যাক্সওয়েলকে জেরা করেছেন টড ব্ল্যানস, যিনি একসময় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন এবং বর্তমানে মার্কিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল(Jeffrey Epstein)। ভুক্তভোগীর দাবি,
“জেরায় ম্যাক্সওয়েল কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেননি। তিনি বারবার পিছলে গেছেন।”
কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১১ অগস্ট আবারও টড ব্ল্যানস জেলে গিয়ে ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।