ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : বর্ষাকাল মানেই কখনও হালকা তো কখনও ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি (Hair Care)। গরমের গুমোট ভাবও একেবারে যায় না। রাস্তায় বেরোলে কখনও বৃষ্টিতে ভেজা, না হয় ঘামে চুপচুপে দশা। এই ভিজে পরিবেশ চুল এবং ত্বকের স্বাস্থ্যের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। বিশেষ করে এই সময় চুল পড়ার সমস্যা যেমন বেড়ে যায়, তেমনি স্ক্যাল্পেও শুরু হয় অস্বস্তিকর চুলকানি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্ষার বৃষ্টির জলে থাকে অ্যাসিডিক উপাদান ও প্রচুর ধুলোবালি। এই জল সরাসরি মাথায় পড়লে চুল এবং স্ক্যাল্প দুটোরই ক্ষতি হতে পারে। তাই বৃষ্টির দিনে বাইরে বেরোনোর সময় মাথা ঢেকে রাখা অত্যন্ত জরুরি। তবুও অনেক সময় বৃষ্টির জল এড়ানো যায় না — তখন স্ক্যাল্পে তৈরি হয় চুলকানি ও নানা রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে ঘরে বসেই কিছু ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন।
বাইরে থেকে ফিরে চুল আঁচড়িয়ে নিন (Hair Care)
বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফিরেছেন? প্রথম কাজ, একটা মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ান। এতে চুলের জট সহজে খুলে যাবে, স্ক্যাল্পে জমে থাকা ময়লা বা মৃত কোষও কিছুটা পরিষ্কার হবে (Hair Care)। এ সময় টান দিয়ে আঁচড়াবেন না, কারণ ভেজা চুল অনেক বেশি দুর্বল থাকে।
অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন (Hair Care)
বর্ষাকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এই ঘাম জমে গিয়ে স্ক্যাল্পে তৈরি হয় খুশকি, ব্যাকটেরিয়া, এমনকি ফাঙ্গাল ইনফেকশনও (Hair Care)। তাই হালকা গরম জলে চুল ধুয়ে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। সপ্তাহে অন্তত ২–৩ দিন এমন শ্যাম্পু ব্যবহারে স্ক্যাল্প পরিষ্কার থাকবে এবং চুল পড়ার পরিমাণ কমবে।
কন্ডিশনার দেওয়া বাধ্যতামূলক
শুধু শ্যাম্পু করলেই হবে না। বর্ষার আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে, তাই প্রয়োজন বাড়তি পরিচর্যা। কন্ডিশনার ব্যবহারে চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং চুল হয়ে ওঠে মসৃণ ও ঝলমলে। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ধোয়ার পর আবার হালকা হাতে চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে নিলে কন্ডিশনার সমানভাবে ছড়িয়ে যাবে।
তেল লাগাতে ভুলবেন না
অনেকে মনে করেন বর্ষায় চুল ঘেমে থাকে, তাই তেল লাগানোর দরকার নেই। এই ধারণা একেবারেই ভুল। চুলে তেল লাগালে স্ক্যাল্প হাইড্রেটেড থাকে এবং শুষ্কতা ও চুলকানির সমস্যা কমে। তবে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করা ঠিক নয়। সপ্তাহে ১–২ দিন, পরিমাণমতো নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। সারারাত রেখে পরের দিন হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
আরও পড়ুন : Monday Horoscope: শ্রাবণের সোমবারের রাশিফল, কার মাথায় থাকবে মহাদেবের আশীর্বাদের হাত?
মেথির জল স্প্রে: স্ক্যাল্পের চুলকানি ও চুল পড়া রোধে কার্যকর
মেথি বা ফেনুগ্রিক চুল ও স্ক্যাল্পের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ। এক মুঠো মেথি এক কাপ জলে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই জল ছেঁকে স্প্রে বোতলে ভরে নিন এবং সপ্তাহে একদিন চুলের গোড়ায় স্প্রে করুন। এটি চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া কমায় ও স্ক্যাল্পের চুলকানি দূর করে।
আরও পড়ুন : Gold Rate Today: সোনার দামে বিরাট বদল, কেনার সুবর্ণ সুযোগ!
অতিরিক্ত কিছু টিপস:
চুল ভিজে থাকলে কখনই ঘুমোবেন না।
ভেজা চুলে কখনও টাইট করে চুল বাঁধবেন না।
হেয়ার ড্রায়ার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন ।
চুলের যত্নে মাইল্ড শ্যাম্পু ও প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।