ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাশিয়া ও চিন যৌথভাবে শুরু করল ডুবোজাহাজবিরোধী মহড়া (Russia China Navy Dril)। রবিবার থেকে শুরু হওয়া এই মহড়া চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেরিটাইম ইন্টার্যাকশন ২০২৫’। রুশ ও চিনা নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, মহড়ার লক্ষ্য প্রতিরক্ষামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধি, যদিও আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে এর পেছনে রয়েছে বড়সড় ভূরাজনৈতিক বার্তা।
মহড়ায় অংশ নিচ্ছে রাশিয়া (Russia China Navy Dril)
মহড়ায় অংশ নিচ্ছে রাশিয়ার বিশাল এক ডুবোজাহাজবিধ্বংসী জাহাজ, চিনের অন্তত দু’টি আক্রমণাত্মক যুদ্ধজাহাজ এবং ডিজেল-বিদ্যুৎচালিত একাধিক ডুবোজাহাজ(Russia China Navy Dril)। সঙ্গে আছে ডুবোজাহাজ উদ্ধারকারী চিনা জাহাজও। এই মহড়ায় গুলি চালনা, ডুবোজাহাজ ধ্বংসের কৌশল, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং সমুদ্রে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানের অনুশীলন করা হবে। দুই দেশই দাবি করছে, এই মহড়া আক্রমণাত্মক নয়, বরং সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক।
ট্রাম্পের ঘোষণা বাড়াল গুরুত্ব (Russia China Navy Dril)
এই মহড়া পূর্বনির্ধারিত হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald J. Trump) সাম্প্রতিক ঘোষণার পর এর গুরুত্ব বেড়েছে(Russia China Navy Dril)। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি নির্দিষ্ট স্থানে পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও কোথায় সেই ডুবোজাহাজ রয়েছে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার কাছাকাছি এলাকায় মার্কিন ডুবোজাহাজ মোতায়েনের সম্ভাবনাই বেশি। এই প্রেক্ষাপটে রাশিয়া-চিনের মহড়া আমেরিকার জন্য স্পষ্ট বার্তা বহন করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ দিমিত্রি মেদভেদেভের ‘উস্কানিমূলক’ মন্তব্যের পর ট্রাম্পের এই ঘোষণা এসেছে। এর পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া না এলেও পার্লামেন্টের সদস্য ভিক্টর ভোডোলাটস্কি জানিয়েছেন, বিশ্বের বিভিন্ন মহাসাগরে আমেরিকার চেয়ে বেশি ডুবোজাহাজ মোতায়েন করা রয়েছে রাশিয়ার। ফলে দুই বৃহৎ পরাশক্তির এই সামরিক আস্ফালন বিশ্বজুড়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে।

রাশিয়া-চিন ঘনিষ্ঠতা, বাড়ছে সামরিক সহযোগিতা (Russia China Navy Dril)
২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার উপর পশ্চিমি দেশগুলির নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে (Russia China Navy Dril)। এর পর থেকে চিন আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে মস্কোর সঙ্গে। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা যেমন বেড়েছে, তেমনি সামরিক সহযোগিতাও গভীর হয়েছে। প্রায়ই যৌথ মহড়ার আয়োজন করা হয়, যা পশ্চিমা বিশ্বের নজর কাড়ছে।

আরও পড়ুন: Donald Trump : প্রথম দফাতেই শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছিলেন ট্রাম্প! করোনা মহামারী হয়েছিল বাধা
বিশেষজ্ঞদের মতে, জাপান সাগরে এই মহড়া শুধু সামরিক কৌশলগত অনুশীলন নয়, বরং আমেরিকার প্রতি কূটনৈতিক ও সামরিক বার্তা। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তি প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।