ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সাধারণতন্ত্রের লড়াইয়ে আরও (Abhishek Banerjee) এক দফা কৌশলগত রদবদল করল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে দিল্লির ময়দানে আরও সক্রিয় ও দৃশ্যমান হতে চলেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভায় এবার তৃণমূল সংসদীয় দলের নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হল তাঁর হাতে।
চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা (Abhishek Banerjee)
সোমবার, তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই ঘোষণা করেন। তিনি জানান, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবার থেকে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে পাশে নিয়ে লোকসভায় দলের নেতৃত্বে থাকবেন। তৃণমূল সুপ্রিমো আরও স্পষ্ট করে বলেন, চিফ হুইপ পদে থাকবেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই। যদিও এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিফ হুইপ পদ থেকে ইস্তফা দেন। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পদত্যাগের কারণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন। সূত্রের খবর, তাঁর জায়গায় চিফ হুইপ পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে।
তৃণমূলের অন্দরে ইতিবাচক সাড়া (Abhishek Banerjee)
অভিষেককে লোকসভার দলনেতা করা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “অভিষেক একজন দক্ষ সংসদ সদস্য। সংসদের ভিতরে ও বাইরে তাঁর কার্যকারিতা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। হিন্দি, বাংলা ও ইংরেজিতে সাবলীল, এবং বিতর্কে দারুণ দক্ষ। তাঁকে সামনে আনা দলের পক্ষে সঠিক পদক্ষেপ।”
আরও পড়ুন: Aadhaar Card: নকল আধার কার্ডের বাড়বাড়ন্ত, কীভাবে আসল-নকল চিনবেন সহজেই?

“বিজেপির দুঃস্বপ্ন”
কুণাল ঘোষের বক্তব্যে আরও স্পষ্ট, অভিষেকের এই উত্থানকে শুধু সাংগঠনিক দিক থেকেই নয়, সংসদীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে কৌশলগত ভাবে ব্যবহার করতে চায় তৃণমূল। কুণাল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত বিজেপির জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে।”