ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গতকাল সারা দেশে পালন করা হয়েছে রাখি পূর্ণিমা (Khan Sir Raksha Bandhan), ভাই-বোনের বন্ধনের অন্যতম শুভ দিন। তবে পাটনায় ঘটল এক অভিনব দৃশ্য, যেখানে রক্তের সম্পর্ক নয়, আত্মার বন্ধন হয়ে উঠল প্রধান। বিখ্যাত শিক্ষক খান স্যারের হাতে রাখি পরালেন প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি ছাত্রী।
শ্রীকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে রাখির অনুষ্ঠান (Khan Sir Raksha Bandhan)
প্রতিবছরের মতো এবারও খান স্যারের কোচিং সেন্টারের তরফে রাখিবন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয় (Khan Sir Raksha Bandhan)। তবে এইবার উপস্থিতির সংখ্যা এতটাই বেড়ে যায় যে, ছোট পরিসরের ক্লাসরুমে আর জায়গা হয় না। তাই প্রথমবারের মতো এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয় পটনার শ্রীকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে, এই আবেগঘন উৎসব চলে প্রায় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত।
বন্ধ রক্ত চলাচল! (Khan Sir Raksha Bandhan)
এই দীর্ঘ সময় জুড়ে খান স্যার মঞ্চে বসে থেকে সকল বোনদের কাছ থেকে রাখি বাঁধিয়ে নেন (Khan Sir Raksha Bandhan)। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে এত রাখি তাঁর হাতে বাঁধা হয় যে, মজা করে তিনি বলেন তাঁর রক্ত চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমনকি হাস্যরসের সঙ্গে ডাক্তার ডাকানোর কথাও বলেন তিনি। তবে এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে ছিল সৌভাগ্যের, এমনটাই জানান সকলের প্রিয় স্যার।
ছাত্রী নয় কেউ!
তিনি বলেন, “আজকের দিনে কেউ আমার ছাত্রী নয়, সবাই আমার বোন। আমি ওদের সবসময় বোনের মতোই দেখি, তাই পড়ানোর সময়ও কখনো কখনো বকাঝকা করি, মজা করি। কিন্তু সেটা ভালোবাসা থেকেই।” উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, খান স্যারের নিজের কোনও রক্তের বোন নেই। তবু এইদিন তাঁর চারপাশে ছিল হাজার হাজার ভালোবাসায় ভরা মুখ, যাঁরা তাঁকে ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করেন।

আরও পড়ুন: Jai Johar Scheme: তিন লক্ষ আদিবাসীর জন্য মাসিক পেনশন, ভাষা-ধর্ম-জমির স্বীকৃতিতে এগিয়ে রাজ্য সরকার
এই অনুষ্ঠানকে আরও বিশেষ করে তুলতে, ছাত্রীদের জন্য খান স্যার নিজে ১৫৬ রকমের খাদ্যের আয়োজন করেছিলেন। ভারতের নানা প্রান্ত থেকে আসা মেয়েরা এই আয়োজনে অংশ নেন। রাখিবন্ধনের এই সংস্কৃতি আর আবেগকেই খান স্যার বলেন “ভারতের গৌরব”। তাঁর মতে, “এই ঐতিহ্য শুধু রক্ষা করাই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরা আমাদের দায়িত্ব।”