Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সকলেই প্রথম হতে চায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর দৌড়ে (Artificial Intelligence)। স্মার্টফোন, অনলাইন পরিষেবা, চিকিৎসা, শিক্ষা, আর্থিক খাত কিংবা শিল্প উৎপাদন প্রতিটি ক্ষেত্রেই এআই তার ক্ষমতা প্রমাণ করছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে—কে এগিয়ে থাকবে, আর কে পিছিয়ে পড়বে? এই প্রতিযোগিতায় ভারতের অবস্থানই বা কোথায়?

সপ্তম স্থানে কে? (Artificial Intelligence)
দক্ষিণ কোরিয়া রোবোটিক্স, অটোমেশন এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্সে এআই ব্যবহারে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেছে। স্যামসাং ও এলজি’র মতো শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের স্মার্টফোন, টেলিভিশন, গৃহস্থালী যন্ত্রপাতি ও স্বচালিত প্রযুক্তিতে এআই প্রয়োগ করছে। ফলে দেশটি এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এআই খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছে।
ষষ্ঠ স্থানে কে? (Artificial Intelligence)
ফ্রান্স এআই গবেষণার পাশাপাশি নৈতিকতা ও এথিক্সের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে। ফরাসি সরকার স্বাস্থ্যসেবা, রোবোটিক্স ও ফাইন্যান্স খাতে এআই উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করার জন্য নীতি ও তহবিল গঠন করেছে। এই ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিই দেশটিকে ইউরোপীয় এআই পরিমণ্ডলে একটি অনন্য জায়গায় নিয়ে গেছে।
কোন স্থানে? (Artificial Intelligence)
সংযুক্ত আরব আমিরাত কেবল অর্থনৈতিকভাবে নয়, প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেও এখন শক্তিশালী হয়ে উঠছে। দেশটির এআই কম্পিউট ক্ষমতা ২৩.১ মিলিয়ন সমপর্যায়ের প্রসেসিং ক্ষমতায় পৌঁছেছে, যা বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সেই সঙ্গে তাদের ৬.৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা এআই ব্যবহারে শক্তিশালী অবকাঠামো গড়ে তুলছে।
ভারত কত নম্বর স্থানে? (Artificial Intelligence)
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ইনফোসিস, রিলায়েন্স প্রভৃতি শীর্ষ ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই এআই গবেষণা ও ব্যবহারে বিপুল বিনিয়োগ করছে। ভারত সরকার “IndiaAI” কর্মসূচির মাধ্যমে এআই গবেষণা, শিল্পখাতের প্রয়োগ এবং নীতিনির্ধারণে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট সিটি, কৃষি, অটোমেশন ও ডিজিটাল সার্ভিসে এআই ব্যবহারের হার দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম এআই ইঞ্জিনিয়ার ও গবেষকগোষ্ঠী ভারতের কাছে রয়েছে, যা দেশটির অগ্রগতিকে আরও গতি দিচ্ছে।
কে রয়েছে তৃতীয় স্থানে? (Artificial Intelligence)
যুক্তরাজ্য স্বাস্থ্যসেবা, গবেষণা ও নৈতিকতার ক্ষেত্রে এআই প্রয়োগে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত মিলিয়ে দেশটি আন্তর্জাতিক এআই অগ্রগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
দ্বিতীয় স্থানে কে? (Artificial Intelligence)
চীন এআই গ্রহণের গতিতে বিশ্বকে অনেক পেছনে ফেলে দিয়েছে। জেনারেটিভ এআই-এর ক্ষেত্রে তাদের ৮৩% ব্যবহারকারী ইতিমধ্যেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে এ হার ৬৫% এবং বিশ্ব গড় মাত্র ৫৪%। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণা, প্রযুক্তি প্রয়োগ এবং শিল্পখাতে উদ্ভাবনে চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro Railway : এখন থেকে সপ্তাহান্তেও ইয়েলো লাইনে মিলবে মেট্রো
প্রথম স্থানে কে?
স্ট্যানফোর্ডের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এখন বিশ্বের এক নম্বর এআই শক্তিধর দেশ। গুগল, মাইক্রোসফট, ওপেনএআই, এনভিডিয়া’র মতো প্রযুক্তি জায়ান্ট এখানেই জন্ম নিয়েছে।
- বড় ভাষা মডেল, অটোমেশন, রোবোটিক্সসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্ব দিচ্ছে।
- বিপুল পরিমাণ প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট দেশটিকে এআই বিপ্লবে অগ্রগামী করেছে।
- বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তির ধারা গঠনে মার্কিন প্রভাব আজও সর্বাধিক।
এআই কেবল প্রযুক্তির একটি শাখা নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতি, রাজনীতি এবং সমাজব্যবস্থার চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ফ্রান্স, আমিরাত, ভারত, যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র সব দেশই নিজেদের মতো করে অবস্থান শক্ত করছে।