Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপ আবারও কেঁপে উঠল (Earthquake Alert) প্রবল ভূকম্পে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের প্রায় ৩৯ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৪। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা USGS জানিয়েছে, কম্পনের কেন্দ্র ছিল পেট্রোপাভলভস্ক-কামচাটস্কি শহর থেকে প্রায় ১১১ কিলোমিটার পূর্বে, অর্থাৎ একেবারে উপকূলবর্তী প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।
সতর্কতা জারি (Earthquake Alert)
এই ঘটনার পরেই সতর্কতা জারি করেছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Earthquake Alert) সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র। জানানো হয়েছে, এই ভূকম্পন ভবিষ্যতের আরও বড় বিপদের সংকেত হতে পারে। ভূত্বকের নীচে প্রচণ্ড গতিতে শক্তি সঞ্চারিত হচ্ছে, যার ফলে রাশিয়ার পূর্ব উপকূলে প্রবল জলোচ্ছ্বাস বা সুনামি আছড়ে পড়তে পারে।
বারবার কাঁপছে কামচাটকা (Earthquake Alert)
গত জুলাই মাসেই এই অঞ্চলে এক দিনে পাঁচটি (Earthquake Alert) পৃথক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ওই সময় রিখটার স্কেলে সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল ৮.৮, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী। ওই ভূমিকম্পের ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছিল ২৫ ফুট উঁচু ঢেউ। এর অভিঘাত অনুভূত হয়েছিল রাশিয়ার উপকূল ছাড়িয়ে জাপান, আমেরিকা ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে পর্যন্ত।
জারি সুনামি সতর্কতা
এই ভয়াবহ ভূকম্পনের জেরে জাপান, পাপুয়া নিউ গিনি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ভানুয়াতু, হাওয়াই, ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া, ওরেগন, এমনকি চিন, পেরু ও ইকুয়েডরেও জারি করা হয়েছিল সুনামি সতর্কতা। বিশ্বের ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলকে “রিং অফ ফায়ার” বা আগ্নেয় বলয়ের অংশ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যেখানে পৃথিবীর ভূত্বক অত্যন্ত সক্রিয়। তাই এখানকার যেকোনো ভূমিকম্প সুনামির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: Train Cancel: কাটোয়া লাইনে বাতিল ট্রেন, ৫ দিন টানা দুর্ভোগ!
স্মরণে জাপান, ২০১১
ভূমিকম্প ও সুনামির ভয়াবহতা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তার উদাহরণ ২০১১ সালের জাপান। সেবার ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প ও তৎপরবর্তী সুনামিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৫,০০০ জনেরও বেশি মানুষ। সেই ঘটনার ছায়া এখনও তাড়া করে বিশ্বকে। বিশেষ করে যখন এমন প্রবল কম্পন একাধিকবার কামচাটকার মতো অঞ্চলে আঘাত হানে।