Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রথমবারের মতো (Masood Azhar) প্রকাশ্যে স্বীকার করল যে তাদের প্রধান মসুদ আজহারের পরিবারের একাধিক সদস্য ভারতের বাহাওয়ালপুরে পরিচালিত অভিযানে নিহত হয়েছেন। একটি ভাইরাল ভিডিওতে জইশ কমান্ডার মসুদ ইলিয়াস কাশ্মিরিকে নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলতে শোনা যায়, “৭ মে বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে মাওলানা মসুদ আজহারের পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।”
বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় বাহিনীর সাহসী অভিযান (Masood Azhar)
“অপারেশন সিন্ধুর” অংশ হিসেবে ভারতীয় বাহিনী (INDIAN ARMY) ৭ মে ভোররাতে পাকিস্তানের একাধিক সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে হামলা চালায় (Masood Azhar) । এ হামলা ছিল ২২ এপ্রিল পহলগামে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী আক্রমণের প্রতিশোধ, যেখানে ২৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর জামিয়া মসজিদ সুবহান আল্লাহ লক্ষ্য করে ভারতীয় বাহিনী আঘাত হানে। স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, মসজিদের একটি গম্বুজ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভেতরের অংশ প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
নিহতদের তালিকায় আজহারের আত্মীয়রা (Masood Azhar)
এই হামলায় আজহারের বোন, তার স্বামী, ভাতিজা, ভাতিজি এবং কয়েকজন শিশুসহ অন্তত ১০ জন আত্মীয় নিহত হন (Masood Azhar)। এছাড়া সংগঠনের চারজন গুরুত্বপূর্ণ সহচরও মারা যায়। বিদেশি সংবাদমাধ্যম এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, পাকিস্তান যদিও বিষয়টি অস্বীকার করে, তবুও মে মাসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আজহারের পরিবারের জন্য জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন : World Top 10 Missile : বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ১০ ক্ষেপণাস্ত্র কোন গুলি?
মসুদ আজহারের অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা (Masood Azhar)
জাতিসংঘ ঘোষিত সন্ত্রাসবাদী মসুদ আজহার বহুদিন ধরেই প্রকাশ্যে আসেন না (Masood Azhar) । ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলা এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার নেপথ্যে তারই ভূমিকা ছিল বলে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে।
সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, আজহার পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে ছিলেন। সেখানে স্কারদু এলাকায় তাকে দেখা গেছে, যা একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। এই তথ্য পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির বক্তব্যকে সম্পূর্ণ খণ্ডন করে, যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন আজহার আফগানিস্তানে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন : Ind vs Pak Asia Cup : করমর্দন বিতর্কে পাকিস্তানের দাবি নাকচ করলো আইসিসি!
রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক তাৎপর্য
ভারতের এই হামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটিগুলোকে সরাসরি টার্গেট করার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে (Masood Azhar)। বিশেষজ্ঞদের মতে, জইশের সদর দফতরে এমন হামলা পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁকফোকর প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, পাকিস্তান সরকার এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে বাহাওয়ালপুরে ভারতীয় হামলার বিষয়টি স্বীকার করেনি। কিন্তু জইশ কমান্ডারের ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় ইসলামাবাদের অস্বীকারযোগ্য অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
ভারতের বাহাওয়ালপুর স্ট্রাইক শুধু জইশ-ই-মহম্মদের জন্যই নয়, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও আন্তর্জাতিক অবস্থানের জন্যও বড়সড় ধাক্কা। মসুদ আজহারের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু এখন প্রমাণ করে দিচ্ছে যে ভারতীয় বাহিনী তাদের সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে এক ধাপ এগিয়েছে।