Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হেঁচকি যা হঠাৎ করেই আসে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বল্প সময়ের মধ্যেই থেমে যায় (Hiccups Treatment)। তবে কখনও কখনও এটি অনেকক্ষন থেকে যায় এবং দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তির ও বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, হেঁচকি হয় যখন ডায়াফ্রাম (বুক ও পেটের মাঝের পাতলা পেশি) অনিচ্ছাকৃতভাবে সংকুচিত হয়। এর ফলে শ্বাসনালিতে হঠাৎ বাতাস ঢুকে পড়ে এবং স্বরযন্ত্রের ভেতরে “হিক” ধ্বনি তৈরি হয়। সাধারণত এটি ক্ষতিকর নয়, তবে অতিরিক্ত দীর্ঘ হলে শরীরের অভ্যন্তরীণ জটিলতার ইঙ্গিতও দিতে পারে।

হেঁচকি কেন হয়? (Hiccups Treatment)
- অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো করে খাওয়া বা পান করা
- গরম খাবারের সঙ্গে ঠান্ডা পানীয় গ্রহণ
- অতিরিক্ত ঝাল বা মশলাদার খাবার খাওয়া
- পেট ভরে খাওয়ার পরে হজমে সমস্যা
- মানসিক চাপ বা হঠাৎ ভয় পাওয়া
হেঁচকি থামানোর ঘরোয়া টোটকা (Hiccups Treatment)
লেবু এবং নুন
এক টুকরো লেবুর উপর সামান্য নুন ছিটিয়ে ধীরে ধীরে চোষা হেঁচকি বন্ধ করার অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। লেবুর টক স্বাদ এবং নুনের ঝাঁঝ মিলে ডায়াফ্রামকে নিয়ন্ত্রণকারী স্নায়ুকে বিভ্রান্ত করে, ফলে হেঁচকি দ্রুত থেমে যায়।
ঠান্ডা জল
- কেউ কেউ বলেন, শ্বাস আটকে রেখে ঠান্ডা জল খাওয়া আরও কার্যকর।
- এটি হেঁচকি বন্ধ করার একটি সহজ এবং নিরাপদ উপায়।
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল
- তিন থেকে চারবার এই প্রক্রিয়া করলে দীর্ঘস্থায়ী হেঁচকিও নিয়ন্ত্রণে আসে।
চিনি
এক চামচ চিনি মুখে নিয়ে ধীরে ধীরে গলিয়ে খেলে স্নায়ুতন্ত্রে আকস্মিক উদ্দীপনা তৈরি হয়।
- এতে হেঁচকির রিফ্লেক্স ভেঙে যায়।
- তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই পদ্ধতি এড়িয়ে চলা উচিত।
দুধ এবং হলুদ
- এটি একটি শান্তিদায়ক প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা বিশেষ করে রাতে হেঁচকি হলে উপকারী।
আরও পড়ুন : IND VS PAK Asia Cup : পাক দলের সঙ্গে ম্যাচ খেললেও হাত মেলানো এড়িয়ে গেলেন সূর্যকুমার-শিবম দুবেরা
হেঁচকি কখন চিন্তার কারণ? (Hiccups Treatment)
- এসিডিটি বা আলসার
- স্নায়বিক সমস্যা
- লিভার বা কিডনির অসুখ
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া