Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : পূর্ব বর্ধমানের কালনার বারুইপাড়ায় এখন একটিই দৃশ্য রাতদিন জেগে চলছে মালা তৈরির কাজ (Bardhaman)। পুজোর মরশুম ঘনিয়ে আসায় ব্যস্ততা একেবারে চরমে। পরিবেশ বান্ধব মালা কি সত্যিই ভাইরাল হয়ে উঠেছে?
রুজির সঙ্গে যুক্ত (Bardhaman)
এই ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বহু মানুষ। বি (Bardhaman)শেষ করে মহিলারাই এখন ঘরে বসে হাতে তৈরি করছেন নানারকম মালা ও চাঁদমালা। তাঁদের দক্ষ হাতের কারুকাজই বাজার মাতাচ্ছে। পুজোর আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটাই, কোরিয়ান কাগজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে মালা! দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই একেবারে পরিবেশবান্ধব। শিল্পীদের ব্যস্ততাও একেবারে তুঙ্গে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, এবার আর প্লাস্টিক নয়, পরিবেশবান্ধব কাগজ, পাট, ভেলভেট দিয়েই তৈরি হচ্ছে রঙিন রঙিন মালা। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই একের পর এক উৎসব। সামনে বিশ্বকর্মা পুজো। তারপর দুর্গা, কালি, কার্তিক-সহ একের পর এক বড় বড় পুজো।

প্লাস্টিক ছেড়ে পরিবেশবান্ধব পথে (Bardhaman)
প্লাস্টিককে একেবারে বিদায় জানিয়ে এ বার মালা তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব কাগজ, পাট, ভেলভেটের মতো উপকরণ দিয়ে। শিল্পীদের দাবি, ঐতিহ্যের টানেই আবার পুরনো দিনের সেই পরিবেশবান্ধব কারিগরি ফিরছে। শিল্পীদের ব্যস্ততাও একেবারে তুঙ্গে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি, এবার আর প্লাস্টিক নয়, পরিবেশবান্ধব কাগজ, পাট, ভেলভেট দিয়েই তৈরি হচ্ছে রঙিন রঙিন মালা। হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরই একের পর এক উৎসব।

কোরিয়ান কাগজে ঝলমলে মালা (Bardhaman)
কোরিয়ান কাগজ, ভেলভেট কাগজ, আট পেপার, কিরণপাত, ক্রিস্টাল, চুমকি-সহ নানা উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে রঙিন মালা। বিশেষ করে লাল ভেলভেট কাগজের মালার চাহিদা এখন তুঙ্গে, যা কালিপুজোয় জমজমাট বাজার তৈরি করবে বলে আশাবাদী শিল্পীরা।
ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার মেলবন্ধন (Bardhaman)
কালনার পাল পরিবারের ঐতিহ্যবাহী কারখানাতেই এই শিল্পের মূল কেন্দ্র। এখানে তৈরি পিচবোর্ডের উপর প্রিন্টেড চাঁদমালারও দারুণ চাহিদা রয়েছে। পুরনো ঐতিহ্যকে আধুনিক রূপে ফিরিয়ে আনছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: Beginning of Durga Puja: ইংরেজদের খুশি করতেই কি দুর্গাপুজোর সূচনা?
বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে (Bardhaman)
শুধু বর্ধমান, নদীয়া, রানাঘাট বা কলকাতাতেই নয় এই পরিবেশবান্ধব মালা পৌঁছে যাচ্ছে ভিনরাজ্যেও। উৎসবের আগে বাজারের চাহিদা বাড়ছে হু হু করে।