Last Updated on [modified_date_only] by Aditi Singha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : কাল বিশ্বকর্মা পুজো, আকাশে অনেক ঘুরে উড়ে যাবে (Vishwakarma Puja)। ছোটবেলার অনেক স্মৃতিচারণ হবে। আজ রাত থেকেই তোরজোর লেগে গেছে ভিন্ন পদের রান্নার কাল সেগুলো ভগবানের প্রসাদ হিসেবে আনন্দ সহকারে খাবে।

রান্না পুজো কী? (Vishwakarma Puja)
বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বাংলার বহু ঘরে পালিত হয় রান্না পুজো। এই দিনে ঘরে বিশেষ রান্নার আয়োজন করা হয় এবং দেবতার উদ্দেশ্যে অর্পণের পাশাপাশি পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের মধ্যে সেই খাবার ভাগ করে খাওয়া হয়।

কেন পালিত হয়? (Vishwakarma Puja)
বিশ্বকর্মা কর্ম ও শিল্পের দেবতা। তাঁকে পূজার আগে রান্না করে অর্ঘ্য দেওয়া হলে ঘরে সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস। রান্না পুজো পারিবারিক ঐক্য ও মিলনেরও প্রতীক। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, এই দিনে রান্না করা খাবার সারা বছরের কাজে সাফল্য এনে দেয়।

আচার-অনুষ্ঠানের ধরন কেমন? (Vishwakarma Puja)
- আগের দিন থেকেই খিচুড়ি, লাবড়া, ভাজা, মাছ-মাংস, মিষ্টি ইত্যাদি পদ রান্না হয়।
- একসঙ্গে প্রচুর খাবার রান্না করা হয়, যাতে তা পরদিনও খাওয়া যায়।
- রান্না করা ভোগের একটি অংশ দেবতার সামনে উৎসর্গ করা হয়।
- গ্রামাঞ্চলে প্রতিবেশীরা মিলিত হয়ে ভোজনে অংশ নেন, শহরে পরিবার-কেন্দ্রিকভাবে এর আয়োজন হয়।
আরও পড়ুন: Beginning of Durga Puja: ইংরেজদের খুশি করতেই কি দুর্গাপুজোর সূচনা?
ঐতিহাসিক দিক (Vishwakarma Puja)
কৃষিজীবী সমাজে ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ভোগ-ভোজের প্রথা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। বিশ্বকর্মা পুজো যেহেতু বর্ষার শেষ থেকে শরতের শুরুতে পালিত হয়, তাই সমৃদ্ধির আহ্বান জানাতে রান্না পুজো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এটি বাংলার খাদ্যসংস্কৃতি ও সামাজিক ঐক্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- রান্না পুজো শুধু ধর্মীয় নয়, এটি সামাজিক উৎসবও।
- খাবার ভাগ করে খাওয়া মানেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়া—এই বোধকে আরও দৃঢ় করে তোলে রান্না পুজো।
- শিল্প, শ্রম ও কর্মের দেবতা বিশ্বকর্মাকে কেন্দ্র করে যেমন কারখানা ও শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় হয়, তেমনি রান্না পুজো ঘরোয়া উষ্ণতা ও সামাজিক বন্ধনের বার্তা বহন করে।