ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ১০ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের(Shaktikanta Das) মেয়াদ। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সাক্ষাৎ করলেন নির্মলা সীতারামনের(Nirmala Sitharaman) সঙ্গে। শনিবার সন্ধ্যায় দিল্লির নর্থ ব্লকে সীতারামনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আরবিআই গভর্নর। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আধ ঘন্টা বৈঠকও হয়। বিদায়ের আগে শক্তিকান্ত দাসকে সঙ্গে নিয়ে একই ফ্রেমে বন্দি হলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিকরা।
আরবিআই গভর্নর হিসাবে শক্তিকান্তের মেয়াদ(Shaktikanta Das)
২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ২৫তম আরবিআই গভর্নর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন শক্তিকান্ত দাস(Shaktikanta Das)। ২০২১ সালে তার মেয়াদ বাড়ানো হয়, যা চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। যদি তার মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়, তবে তিনি ৭.৫ বছরের রেকর্ড ছুঁয়ে বেনেগাল রামা রাও-র পরে দীর্ঘতম আরবিআই গভর্নর হিসেবে পরিচিত হবেন। রামা রাও ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত আরবিআই গভর্নরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বৈঠকের তাৎপর্য(Shaktikanta Das)
আরবিআই গভর্নর হিসাবে শক্তিকান্ত দাসের মেয়াদের শেষ মুহূর্তে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে এই বৈঠকের। আরবিআই গভর্নর হিসাবে শক্তিকান্ত দাসের(Shaktikanta Das) মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক আর্থিক এবং প্রশাসনিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতীয় অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ইঙ্গিত এই বৈঠক থেকে পাওয়া যেতে পারে। আর্থিক নীতি সংক্রান্ত বৈঠকের একদিন পর এই আলোচনার ইঙ্গিত দেয় যে বড় কিছু সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে শক্তিকান্ত দাসের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো সরকারি ঘোষণা করা হয়নি।
মৌলিক ভূমিকা এবং দায়িত্বপালন
শক্তিকান্ত দাস একজন অভিজ্ঞ আমলা হিসেবে পরিচিত। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে রাজস্ব বিভাগ এবং অর্থনৈতিক বিষয়ক বিভাগের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া, তিনি ১৫তম অর্থ কমিশনের সদস্য এবং ভারতের জি২০ শেরপার দায়িত্বও পালন করেন।
গভর্নরের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা
যদি শক্তিকান্ত দাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়, তবে তা ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার স্থায়িত্ব বজায় রাখতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তার নেতৃত্বে আরবিআই ভারতে মুদ্রানীতি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এখন দেখার বিষয়, শক্তিকান্ত দাসের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে সরকার আরও কতদিন কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ১০ ডিসেম্বরের পরে তার মেয়াদ বাড়ানো হলে, এটি ভারতের আর্থিক ব্যবস্থার ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।