ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ঢুকে পড়েছেন সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ইতিমধ্যেই। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট (Syrian President) বাশার আল আসাদ (Bashar al-Assad) দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, এমনটা দাবি করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের রাশ বিদ্রোহীদের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত সিরিয়ার সরকার, এমন জানিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ গাজি জালালি (Abu Mohammed al-Julani)। তবে তিনি চাইছেন বিষয়টি শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হোক!
সিরিয়া দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা! (Syrian President)
গত কয়েক দিনে সিরিয়ার একের পর এক শহর নিজেদের দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। রবিবার সকালেই রাজধানীতে ঢুকে পড়েন বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন সরকারি ভবনের দখল নেওয়া শুরু করেছেন তারা এমনটাই সূত্রের খবর বিভিন্ন প্রতিবেদন সূত্রে। শনিবার রাত থেকেই দামাস্কাস ঘিরে ফেলার কাজ শুরু করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। তাদের আগ্রাসনের সামনে পিছু হটতে শুরু করেছে সিরিয়া সেনা।
আরও পড়ুন: Bangladesh: বাংলাদেশে শান্তিসেনা পাঠানোর দাবি! কখন শান্তিসেনা পাঠাতে পারে রাষ্ট্রপুঞ্জ?
‘বেপাত্তা’ প্রেসিডেন্ট আসাদ (Syrian President)
বিদ্রোহীদের দখলে দামাস্কাস আসতেই ‘বেপাত্তা’ প্রেসিডেন্ট আসাদ দাবি সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর। প্রেসিডেন্ট বিমানে উঠেছেন। তবে গন্তব্য কোথায় সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও খবর মেলেনি, সিরিয়ার সেনাবাহিনীদের শীর্ষ আধিকারিকদের রয়টার্সে দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী। প্রেসিডেন্ট বর্তমানে দেশছাড়া, রাজধানীর বুকে দাপাচ্ছেন বিদ্রোহীরা এমন অবস্থায় ‘যুদ্ধে’ না জড়িয়ে ‘আত্মসমর্পণে’র পথই বেছে নিলেন প্রধানমন্ত্রী জালালি। সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, তিনি একটি ভিডিয়োবার্তা প্রকাশ করেছেন যেখানে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Hama City Capture: আলেপ্পো পর এবারে হামা, পরপর সিরিয়ার শহর দখল বিদ্রোহীদের
সে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তিনি তার বাড়িতেই রয়েছেন। কারণ সিরিয়া তার দেশ। প্রতিদিনের মতন তিনি নিজের কার্যালয়ে যাবেন। কাজকর্ম সারবেন। পাশাপাশি সরকারি সম্পত্তি নষ্ট না করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সিরিয়ার বিদ্রোহী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ ( Hayat Tahrir al-Sham’ (HTS) )ও তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র (‘Jaish al-Izza’)যৌথবাহিনী আগ্রাসনে পিছু হটেছে আসাদের সরকার। রবিবার সকালে রাজধানীও বিদ্রোহীদের দখলে সূত্র। সিরিয়ায় গত ১৩ বছরেরও (13 YEAR)বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনীও হামলা চালায় ।
রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারেন আসাদ? (Syrian President)
সিরিয়া ছেড়ে তাঁকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু এত সহজে কি থেমে যাবেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট? না কি সামনাসামনি দাঁড়ানোর শেষ চেষ্টা করবেন তিনি? সিরিয়ার লাগাতার গৃহযুদ্ধ নিয়ে সেটাই এখন আমেরিকার কপালে চিন্তার ভাঁজ, মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেই। এইমুহূর্তে আসাদ রাসায়নি অস্ত্র (chemical weapons) প্রয়োগ করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা তিনি এর আগেও করেছেন। ২০১৩ সালের কুখ্যাত ঘৌটা রাসায়নিক হামলা কিংবা ২০১৭ সালের খান শেখুন রাসায়নিক হামলায় শয়ে শয়ে মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সে ছবি কি আবার ঘুরে ফিরে আসবে?