ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ৯২ বছরে প্রয়াত কেন্দ্রের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ। কৃষ্ণ ক্ষমতায় থাকাকালীনই ভারতের সিলিকন ভ্যালি হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে উঠে আসে বেঙ্গালুরুর নাম। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। পূর্বসুরির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনীতিকরা।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার ভোর পৌনে তিনটে নাগাদ বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাজনৈতিক কেরিয়ারের অনেকটা সময় কংগ্রেসে কাটালেও শেষদিকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক মহল। সিদ্দারামাইয়া থেকে শুরু করে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু- কৃষ্ণর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন সকলেই।
১৯৬২ সালে রাজনীতির ময়দানে অভিষেক হয় এস এম কৃষ্ণর। প্রজা সোশালিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসাবে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হারিয়ে দেন কংগ্রেস প্রার্থীকে। ৬ বছর পরে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। ১৯৭২ সালে ফের কর্নাটকের নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি, তবে কংগ্রেসের টিকিটে। ১৯৯৯ সালে কৃষ্ণর নেতৃত্বেই কর্নাটকের বিধানসভা ভোটে জেতে হাত শিবির। মুখ্যমন্ত্রী হন কৃষ্ণ। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের বিজেপি নেতা সদানন্দ গোদা।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/ex-foreign-minister-and-ex-karnataka-cm-sm-krishna-dies/
কৃষ্ণর আমলেই বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি পায় বেঙ্গালুরু। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলো ব্যাপক উন্নতি করে এই সময়ে। কৃষ্ণর আমল থেকেই বেঙ্গালুরু ধীরে ধীরে ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালি’ হয়ে ওঠে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রিত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হন ২০০৪ সালে। ২০০৯ সালে বিদেশমন্ত্রীও হন এসএম কৃষ্ণ। এদিন তাঁর মৃত্যুর খবরে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি.এস ইয়েদুরাপ্পাও।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/bangladesh-visa-to-restart-after-vikram-misri-meeting/
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও কর্নাটকের মানুষের কাছে তিনি স্মরণীয়। তাঁর হাত ধরেই বদলে গিয়েছিল কর্নাটক। দক্ষিণের এই রাজ্যকে বিশ্বমঞ্চে পরিচিতি দিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণই। তাই তো নয়ন সম্মুখে না থাকলেও কর্নাটকের মানুষের হৃদয়ে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন এসএম কৃষ্ণ।