ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাবা আমিতাভ (Amitabh Bachchan) ছেলে অভিষেকের (Abhishek Bachchan) সম্পর্কে যেমন কোনও খারাপ মন্তব্য সহ্য করতে পারেন না। কোনও গুজব মেনে নিতে পারেন না । বারংবার তার বিরোধিতা করেন। এমনকি অভিষেক-ঐশ্বর্যের ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়েও তাঁকে পরোক্ষ ভাবে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল।
বাবার নামে কথা নয় (Abhishek Bachchan)
অপরদিকে অভিষেকও (Abhishek Bachchan) কিন্তু বাবার নামে কোনও খারাপ কথা সহ্য করলেন না। উপরন্তু রেগে গেলেন এবং শো ছেড়ে যাওয়ার কথা দ্বিতীয়বার ভাবলেন না। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই হয়েছে। বাবার নামে কোনও খারাপ কথা সহ্য করতে পারলেন না অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। এমনকি চটে লাল! ঠিক কি হয়েছিল? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কমেডি শো (Abhishek Bachchan)
‘কেস তো বান্তা হ্যায়’ একটি কমেডিয়ান শো। এই শো তে ছিলেন কমেডিয়ান পরিতোষ ত্রিপাঠি। সঙ্গে ছিলের রীতেশ দেশমুখ, বরুণ শর্মা ও কুশা কপিলা। অতিথি হিসেবে ছিলেন অভিনেতা অভিষেক বচ্চন। অভিষেককে ‘ট্রোল ‘করতে আসেন পরিতোষ ত্রিপাঠি। তিনি মশকরা করতে থাকেন, ‘শোলে’ সিনেমার নাম করে। আবার কখনও অমিতাভ বচ্চনের নাম করে। আর তাতেই চটে যান অভিষেক বচ্চন। তিনি জানান, বাবাকে নিয়ে এমন রসিকতা তাঁর পছন্দ হয়নি। রীতেশ দেশমুখ ও বরুণ শর্মা অভিষেককে বোঝাতে থাকেন। সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়ে যান পরিতোষ ত্রিপাঠি।
আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty Daughter: ডাস্টবিন থেকে মেয়েকে এনেছিলেন মিঠুন, স্মৃতিচারণায় চোখে জল
‘আমি বোকা নই’
আসলে অতিথি হিসেবে থাকা অভিনেতা অভিষেক হঠাৎই, “আমি বোকা নই” এমন কথা বলে শো থেকে বেরিয়ে যান। তার পরেই “কাহানি মে টুইস্ট!” যে দিক দিয়ে বেরিয়েছিলেন ঠিক উল্টো দিক থেকে আবার শোতে ফিরে আসেন অভিষেক বচ্চন। ভীত পরিতোষকে বলেন, “কী বলেছিলাম আমি? এই লাইনে আমি তোর বাপ। ট্রোল এভাবে করে।” আর এই কথা শুনেই যেন মনে বল ফিরে আসে কমেডিয়ান পরিতোষের। ততক্ষণে তিনি বুঝে গেছেন, আসলে তিনি অভিষেক, রীতেশদের প্র্যাংকের শিকার।
আরও পড়ুন: Jagaddhatri Team: উধাও তিক্ততা, বেনারসে নতুন সম্পর্কের সমীকরণে জগদ্ধাত্রী-স্বয়ম্ভু
জনপ্রিয় শো
আসলে এই রকম কমেডি শো বেশ জনপ্রিয়। এই প্রসঙ্গে অজয় দেবগণ ও রোহিত শেট্টি জানান, তাঁরাও কম কিছু করেননি। বলিউডের প্র্যাংক স্টার হিসাবে অক্ষয় কুমারেরও বেশ সুনাম রয়েছে। এবারে কমেডি শো’য়ে এসে অভিষেক বচ্চনও ট্রোলের নামে নিজের প্র্যাংকের নমুনা দেখিয়ে দিলেন। ওই মুহূর্তে অভিষেকের মুখের অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি সত্যি রেগে গিয়েছেন। এতটাই রেগে গিয়েছেন যে, বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলতে পারেন। তাও আবার বাবাকে নিয়ে ট্রোল বলে কথা। সবাই বিষয়টা ভীষণ সিরিয়াসলি নিয়ে নেয়। আর এটাই তো অভিনেতাদের গুণ। এমন ভাবে অভিনয় করবেন যে, কোনটা সত্যি আর কোনটা নকল, বোঝা ভীষণ মুশকিল।