ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্যালেস্টাইনের হামাস গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির (Gaza Ceasefire) একটি খসড়া চুক্তি এবং বন্দী মুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে। চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতের মধ্যেই আলোচনার সঙ্গে যুক্ত দুই কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন। এই সংঘাত অক্টোবর ২০২৩ থেকে চলছে।
কাতারে দীর্ঘ বৈঠকের পর বুধবার যুদ্ধবিরতির (Gaza Ceasefire) চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনা চলছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং কাতারের মধ্যস্থতায়, ইসরায়েল ও হামাস এখন এই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে এতদিনের মধ্যে সবচেয়ে নিকটবর্তী অবস্থায় রয়েছে। এই চুক্তি ১৫ মাস ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে।
চুক্তির আরও কাছাকাছি (Gaza Ceasefire)
ইসরায়েলি এক কর্মকর্তার সূত্র ধরে বলা হয়েছে, চুক্তির অগ্রগতি হয়েছে, তবে এর বেশি কিছু বিস্তারিত বিষয় এখনও চূড়ান্ত করা বাকি। যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার ২০২৩ সালের অক্টোবরের হামাস আক্রমণে বন্দী হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির (Gaza Ceasefire) চুক্তি নিয়ে কাজ করছে।
আরও পড়ুন: Army Day: ভারতের ‘স্থলসেনা দিবস’ পালনের আগেই LAC-তে মহড়া লাল ফৌজের!
খসড়া নিয়ে আলোচনা (Gaza Ceasefire)
মঙ্গলবার কাতারে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় (Gaza Ceasefire), যেখানে চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হয়। কাতারের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি জানিয়েছেন, উভয় পক্ষকে একটি প্রস্তাবিত চুক্তি প্রদান করা হয়েছে এবং বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা চলছে।
মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন মঙ্গলবার বলেছেন, “এই চুক্তি এখন আগের যেকোনও সময়ের তুলনায় শেষ হওয়ার সবথেকে কাছাকাছি রয়েছে।”
চুক্তির প্রধান প্রস্তাব (Gaza Ceasefire)
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাথমিক চুক্তিতে হামাস ৩৩ জন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দেবে। চুক্তি কার্যকর হওয়ার ১৬ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে, যেখানে বাকি জীবিত বন্দীদের মুক্তি এবং মৃতদের দেহ ফেরত দেওয়া হবে (Gaza Ceasefire)।
ইজরায়েলি সেনারা সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা বজায় রাখবে এবং ফিলাডেলফি করিডোরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া উত্তরের নিরস্ত্র বাসিন্দারা তাদের ঘরে ফিরতে পারবে। তবে অস্ত্র আনার বিষয়ে নজরদারি থাকবে।
এদিকে, হামাসের অক্টোবর ২০২৩-এর হামলায় অংশগ্রহণকারীদের মুক্তি দেওয়া হবে না। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যক প্যালেস্তিনীয় বন্দি মুক্তি পাবে, যা জীবিত বন্দীদের সংখ্যা অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আরও পড়ুন: Murder and Rape: প্রথমে কয়েন দিয়ে ‘টস’, তারপরেই তরুণীকে খুন করলেন পোল্যান্ডের যুবক
গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ব্যবস্থা
এই আলোচনায় গাজার ভবিষ্যৎ শাসন নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ইজরায়েল জানিয়েছে, হামাসকে শাসনের কোনও ভূমিকা দেওয়া হবে না এবং প্যালেস্তিনীয় কর্তৃপক্ষের অংশগ্রহণও তারা প্রত্যাখ্যান করেছে।
তবে আন্তর্জাতিক মহল বলছে, গাজা অবশ্যই প্যালেস্তিনীয়দের দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। তবে বিকল্প কোনও গোষ্ঠী বা সামাজিক নেতৃত্ব খুঁজে বের করা এখনও সম্ভব হয়নি।
গাজার মানবিক সংকট নিরসনে চুক্তির অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হবে।